হামলার পরে কানাডা জুড়ে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। টরেন্টো-র ডান্ডাস স্কোয়ারে। ছবি: রয়টার্স
বন্দুকবাজের হামলার পরেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পিছু হটবেন না বলে জানালেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার। কয়েক দিন আগেই ইরাকের যুদ্ধে অংশ নিতে ছ’টি যুদ্ধবিমান পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছিল কানাডা। একই সঙ্গে এ বার কানাডায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে বলে জানান হারপার।
এ দিকে, এই হামলার পিছনে বন্দুকবাজকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। কানাডার পুলিশ সূত্রে খবর, হামলাবাজের নাম মাইকেল জেহাফ বিবেউ। জন্মসূত্রে খ্রিস্টান হলেও পরে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। তার মাদকাসক্তির খবরও মিলেছে। নানা ঘটনায় এর আগে ভ্যানকুভার ও মনট্রিয়লে তার বিরুদ্ধে পুলিসের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছিল। সম্প্রতি দেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিল মাইকেল। কিন্তু তার আবেদন অগ্রাহ্য করা হয়। একই সঙ্গে তার পাসপোর্টও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।
সরাসরি কোনও সম্পর্ক না জানা গেলেও কানাডার প্রধানমন্ত্রী এর পিছনে ইসলামিক স্টেট-এর (আইএস) প্রভাব আছে বলে জানিয়েছেন। এই ঘটনার কয়েক দিন আগে আর এক কানাডীয় সেনা গাড়ি চাপায় মারা যান। পার্লামেন্টে আক্রমণের পরে সেই ঘটনাটিকেও বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না। পাশাপাশি, ওটাওয়া-র ঘটনায় আরও কয়েক জন জড়িত থাকতে পারে বলে পুলিশের সন্দেহ। তাই কানাডার পুলিশ ও নানা নিরাপত্তা সংস্থা সন্দেহভাজনদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। কানাডা পুলিশ সূত্রে খবর, এর মধ্যেই কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বন্দুকবাজকে হত্যা করেছেন সার্জেন্ট-অ্যাট-আর্মস কেভিন ভিকার্স। ৫৮ বছর বয়সী কেভিন ২৯ বছর রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিসে কাজ করেছেন। এর আগে ২০১১-এ কানাডার হাউস অফ কমন্স-এ শিখদের পাগড়িতে কৃপাণ রাখাকে সমর্থন করে তিনি সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন।
অন্য দিকে, কিছু দিনের মধ্যে কানাডার পালার্মেন্টে ‘কানাডিয়ান সিকিউরিটি অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স অ্যাক্ট’-এ কিছু পরিবর্তন করার জন্য একটি বিল আসার কথা। এই পরিবর্তনে কানাডার গুপ্তচর সংস্থা ‘সিএসআইএস’-এর হাতে আরও ক্ষমতা দেওয়া হত। ওটাওয়া-র ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সেই পরিবর্তন নিয়ে নতুন করে চিন্তা করা হচ্ছে।