বধূকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী ও দুই জায়ের কারাদণ্ড

পণের দাবিতে বধূর উপরে অত্যাচার এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে স্বামী এবং তাঁর দুই জা’কে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল চুঁচুড়া আদালত। বুধবার চুঁচুড়া আদালতের বিশেষ বিচারক পুলককুমার তিওয়ারি এই সাজা ঘোষণা করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৪ ১৭:০৫
Share:

পণের দাবিতে বধূর উপরে অত্যাচার এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে স্বামী এবং তাঁর দুই জা’কে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল চুঁচুড়া আদালত। বুধবার চুঁচুড়া আদালতের বিশেষ বিচারক পুলককুমার তিওয়ারি এই সাজা ঘোষণা করেন।

Advertisement

১৯৯৯-এর ৫ ফেব্রুয়ারি জাঙ্গিপাড়ার বোড়হল গ্রামের তরুণী শিপ্রা সরের সঙ্গে পান্নালাল আশের বিয়ে হয়। শিপ্রাদেবীর পরিবারের অভিযোগ ছিল, বিয়ের সময় বেশ কয়েক হাজার টাকা নগদ, সোনাদানা-সহ বিভিন্ন সামগ্রী যৌতুক হিসেবে দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই বাড়তি পণের দাবিতে শিপ্রাদেবীর উপরে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালত।

বিয়ের মাত্র আট বছরের মাথায় অগ্নিদগ্ধ হন শিপ্রাদেবী। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালের শয্যায় শিপ্রাদেবী মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে জানিয়েছিলেন, আরও টাকার দাবিতে স্বামী পান্নালাল, বড়জা মঞ্জুবালা আশ, মেজোজা পুতুল আশ এবং ননদ অন্নপূর্ণা নন্দী মিলে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এর পরে শিপ্রাদেবীর বাবা তারিনীচরণ সর ধনেখালি থানায় খুন এবং বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা চলাকালীন অন্যতম অভিযুক্ত অন্নপূর্ণা নন্দী মারা যান। মামলার সরকারি আইনজীবী ছিলেন কালীপ্রসাদ সিংহরায় এবং প্রশান্ত ভট্টাচার্য। তাঁরা জানান, মামলায় মোট ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। আদালতে প্রমাণিত হয়, শিপ্রাদেবী বধূ নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।

Advertisement

সোমবার বিচারক স্বামী এবং দুই জা’কে দোষী সাব্যস্ত করেন। বুধবার বিচারক আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে তিন আসামীকেই ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং দু’হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছ’মাস কারাদণ্ডের আদেশ দেন। পাশাপাশি, বধূ নির্যাতনের দায়ে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ডের আদেশ দেন। দু’টি সাজাই এক সঙ্গে চলবে। জরিমানার টাকা মৃতার পরিবারকে দেওয়ার আদেশ দেন বিচারক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement