ছবি: গেটি ইমেজেস।
নেদারল্যান্ডস-০ (৪): কোস্টারিকা-০ (৩)
একশো কুড়ি মিনিট ম্যাচ গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেক শুরুর মুহূর্তেই খেলাটা ইতিহাসের পাতায় ঢুকে পড়েছিল। পেনাল্টি শু্যট আউটে কোস্টারিকা জিতলে বিশ্বকাপের চুরাশি বছরের ইতিহাসে তারাই প্রথম সেন্ট্রাল আমেরিকান দেশ হিসাবে সেমিফাইনাল যাবে। আর নেদারল্যান্ডস জিতলে বিশ্বকাপে তারা এই প্রথম টাইব্রেকারে সফল হবে। চাপ সম্ভবত ডাচদের উপরই বেশি ছিল। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে (১১৯) কোচ লুই ফান গল নিয়মিত গোলকিপার সিলেসেনকে বসিয়ে নিউকাসল ইউনাইটেডে খেলা টিম ক্রুলকে নামান (তার একটু আগেই নামিয়েছিলেন পেনাল্টি কিক মারিয়ে হিসাবে বিখ্যাত হুন্টেলারকে-ও)। যাঁর নাকি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে কুড়িটা পেনাল্টি কিক বাঁচানোর নজির আছে। এবং দ্বিতীয় স্পটকিকেই কোস্টারিকা অধিনায়ক ব্রায়ান রুইজের শট বাঁচিয়ে ক্রুল-ই নেদারল্যান্ডসের টাইব্রেকে ৪-৩ গোলে জয়ের মহানায়ক (পরে কোস্টারিকার শেষ পেনাল্টিও বাঁচান তিনি)। কমলা জার্সিতে মাত্র ষষ্ঠ ম্যাচ খেলতে নেমেই! ব্রাজিলে শেষ চারের যুদ্ধে লিও মেসির সামনে রবেন-রবিন ফান পার্সিরা। যে ম্যাচটা নির্ধারিত নব্বই মিনিটেই ডাচদের অন্তত হাফডজন গোলে জেতা উচিত ছিল, সেটা রবেন-রবিন-কাউটের অসংখ্য মিস, দু’টো শট পোস্টে লাগা আর বিপক্ষ গোলকিপার নাভাসের তিনটে সেভে শেষমেশ টাইব্রেকে পার হতে হল নেদারল্যান্ডসকে!