প্রতারণার অভিযোগে শিলিগুড়ির একটি হোটেল থেকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা-সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে জিটিএ-র চেয়ারম্যান তথা মোর্চার কার্শিয়াং শাখার সভাপতি প্রদীপ প্রধান রয়েছেন। তিনি মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির বাসিন্দা রবি কীর্তনিয়া মঙ্গলবার রাতে প্রধাননগর থানায় প্রতারণার একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি জানান, সম্প্রতি কয়েক জনের সঙ্গে একটি প্রাচীন মুদ্রা কেনার বিষয়ে তাঁর কথা হয়। বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার পর ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম বাবদ দিয়েও দেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে সেই মুদ্রা হাতবদল হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো ওই রাতে কলকাতা থেকে এক মুদ্রা বিশেষজ্ঞকে নিয়ে দার্জিলিং মোড়ের একটি হোটেলে পৌঁছন রবিবাবু। মুদ্রাটি ওই বিশেষজ্ঞকে দেখানো হলে তিনি পরীক্ষা করে জানান, এটি কোনও প্রাচীন মুদ্রা নয়। এমনকী, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ছাপ মারা ওই মুদ্রাটি তামার নয় বলেও জানান তিনি। তাঁর মতে, ওটি একটি পিতলের মুদ্রা যা সম্প্রতি তৈরি করা হয়েছে। এর পরই রবিবাবু প্রধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি তিনি পুলিশকে জানান, দার্জিলিং মোড়ের ওই হোটেলে প্রতারকরা রয়েছে।
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ রাতেই ওই হোটেলে অভিযান চালায়। সেখান থেকে প্রতারণার অভিযোগে আটক করা হয় ১১ জনকে। সেই দলে প্রদীপও ছিলেন। তাঁদের প্রধাননগর থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে গ্রেফতার করা হয় ওই ১১ জনকে। বুধবার ধৃতদের আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
গ্রেফতারের পর প্রদীপবাবু বলেন, “কারও কাছে কোনও প্রমাণ নেই যে আমি প্রতারণা করেছি। মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। আমি এখানে একটা বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলাম।” শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি ও জি পাল বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”