লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর ২৪ ঘণ্টা কাটল না, নব নির্বাচিত সাংসদদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বিকেলে তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে হাজির হন সদ্য জিতে আসা ৩৪ জন সাংসদ।
এই বৈঠকে মমতা সাংসদদের স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন, রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশ্নে সজাগ থাকতে হবে। পাশাপাশি দলীয় সাংসদের শৃঙ্খলাবদ্ধ হওয়ার উপরে জোর দেন তিনি। দলীয় সূত্রে খবর, কেন্দ্রের নতুন সরকার যদি কোনও জনবিরোধী নীতি গ্রহণ করে, সাংসদদের সঙ্গে সঙ্গে সেই বিষয়ে সরব হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী।
এ দিনের বৈঠকে লোকসভার দলনেতা নির্বাচন করা হয়। আগের বারের মতোই কলকাতা উত্তরের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এই দায়িত্ব পেয়েছেন। বৈঠকে তাঁর নাম প্রস্তাব করেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা কলকাতা দক্ষিণের সাংসদ সুব্রত বক্সি। তাঁর প্রস্তাব সমর্থন করেন উলুবেড়িয়ার সাংসদ সুলতান আহমেদ। সহনেতা হিসেবে রাখা হয়েছে হুগলির সাংসদ রত্না দে নাগকে। তিনি আগের লোকসভাতেও এই দায়িত্ব সামলেছেন। তবে এ বারে রত্নাদেবীর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে যাদবপুরের সাসংদ সুগত বসুর নামও। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, নতুনের সঙ্গে পুরনোর সামঞ্জস্য রাখতেই দলনেত্রীর এমন ভাবনা। সংসদে তৃণমূলের মুখ্য সচেতক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুকুল রায়কে। তিনি আগেও একই দায়িত্বে ছিলেন।
শুক্রবার ফল প্রকাশের পর মমতা জানিয়েছিলেন, এখনই কোনও বিজয় উত্সব করা হবে না। এ দিন তিনি বলেন, “বিজয় উত্সব আমরা ২১ জুলাইয়ের জন্য তুলে রাখছি। তবে আগামী রবিবার থেকে ১ সপ্তাহ ধরে রাজ্যের প্রতিটি জায়গায় বুথ স্তরে মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হবে।”