নৈহাটিতে ব্লাইন্ড স্কুলের এক দৃষ্টিহীন ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ওই স্কুলেরই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নৈহাটি থানায় শনিবার এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতা কিশোরীর পরিবার। অভিযোগে তাঁরা জানিয়েছেন, এপ্রিল মাসের ১১ তারিখে বছর পনেরোর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ব্লাইন্ড-স্কুলের কর্মী বিপ্লব কোনাই। গত ১৮ অগস্ট ঘটনাটির কথা জানতে পারেন ওই কিশোরীর বাবা-মা। তাঁরা কিশোরীকে নৈহাটির এক চিকিত্সকের কাছে নিয়ে যান। ডাক্তারি পরীক্ষায় কিশোরীটি অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা যায়। পরের দিন কিশোরীকে নিয়ে তাঁর বাবা-মা স্কুলে যান। অভিযোগ, ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এলে ধর্ষণের কথা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নির্যাতিতার পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। স্কুলের মধ্যেই সালিশি সভা ডাকেন তিনি। অভিযুক্তের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আমডাঙার একটি নার্সিং হোমে গর্ভপাত করানো হয় ওই কিশোরীর। কেন তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর আগে সালিশি সভা ডাকলেন? কেনই বা অর্থের বিনিময় বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার কথা বললেন, তা জানতে প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।