নিউ ইয়র্কে মিলল ইবোলা আক্রান্তের খোঁজ

আফ্রিকার দেশগুলি থেকে আসা প্রত্যেক যাত্রীর উপর কড়া নজরদারি রাখার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। সেই মতো গিনি, লাইবেরিয়া বা সিয়েরা লিয়নের মতো দেশ থেকে আসা যাত্রীদের সপ্তাহে দু’বার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছিল প্রশাসন। আর এই নজরদারির জেরেই নিউ ইয়র্কে প্রথম ইবোলা আক্রান্ত রোগীকে চিহ্নিত করল মার্কিন প্রশাসন। আক্রান্ত ক্রেগ স্পেনসার পেশায় এক জন চিকিত্সক। গিনিতে ইবোলা আক্রান্তদের চিকিত্সা করছিলেন তিনি। সপ্তাহ খানেক আগে নিউ ইয়র্কে পৌঁছেছেন ক্রেগ। প্রশাসন সূত্রে খবর, ক্রেগকে বেলভিউ হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ১৩:৫৩
Share:

হাসপাতাল চত্ত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি নিউ ইয়র্কের মেয়র। ছবি: রয়টার্স।

আফ্রিকার দেশগুলি থেকে আসা প্রত্যেক যাত্রীর উপর কড়া নজরদারি রাখার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। সেই মতো গিনি, লাইবেরিয়া বা সিয়েরা লিয়নের মতো দেশ থেকে আসা যাত্রীদের সপ্তাহে দু’বার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছিল প্রশাসন। আর এই নজরদারির জেরেই নিউ ইয়র্কে প্রথম ইবোলা আক্রান্ত রোগীকে চিহ্নিত করল মার্কিন প্রশাসন। আক্রান্ত ক্রেগ স্পেনসার পেশায় এক জন চিকিত্সক। গিনিতে ইবোলা আক্রান্তদের চিকিত্সা করছিলেন তিনি। সপ্তাহ খানেক আগে নিউ ইয়র্কে পৌঁছেছেন ক্রেগ। প্রশাসন সূত্রে খবর, ক্রেগকে বেলভিউ হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে।

Advertisement

ইবোলার সঙ্গে লড়াই করতে মাস খানেক ধরেই প্রস্তুত হচ্ছিল নিউ ইয়র্ক। সেই মতো বেলভিউ-সহ আরও ৮টি হাসপাতালকে বিশেষ ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর নিউ ইয়র্কে মারাত্মক সংক্রামক এই রোগ যাতে কোনও ভাবেই ছড়িয়ে না পরতে পারে তার দিকে কড়া নজর রাখছে প্রশাসন। শহরের মেয়র জানিয়েছেন, ইবোলা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রস্তুত নিউ ইয়র্ক। শহরবাসীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে মেয়রের এই আশ্বাসবাণীতে ভরসা করতে পারছেন না বাসিন্দারা। বিশেষ করে যখন থেকে জানা গিয়েছে শহরে আসার পর ক্রেগ ব্রুকলিনের একটি বোলিং ক্লাব এবং সাবওয়েতে গিয়েছিলেন। শহরের স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, শহরে আসার পর থেকে ক্রেগের সঙ্গে সরাসরি যাঁদের যোগাযোগ হয়েছে তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই তাঁর বান্ধবী এবং জনা কয়েক বন্ধুকে চিহ্নিত করে পরীক্ষা করা হচ্ছে।

ইবোলার এখনও কোনও প্রতিষেধকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেনিভায় বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে দু’দিনের সম্মেলন। হু-র হিসাবে ইবোলা আক্রান্ত ৭০ শতাংশ রোগীরই মৃত্যু হয়। প্রতিষেধক না থাকায় নজরদারির উপরেই ভরসা রাখছে বেশির ভাগ দেশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement