হাসপাতালে জখম এক পুলিশকর্মী। ছবি: শান্তনু হালদার।
থানার ভেতরেই পুলিশের গাড়িতে একসঙ্গে ফাটল বাজেয়াপ্ত করা প্রচুর শব্দবাজি। সোমবার দুপুর একটা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা থানায় এই বাজি ফাটার ঘটনায় ছয় পুলিশকর্মী-সহ ন’জন গুরুতর জখম হয়েছেন। ঘটনাটিকে নেহাতই দুর্ঘটনা বলে নাশকতার সমস্ত সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে জেলা পুলিশ। আহতদের প্রথমে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে বারসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
জখম পুলিশকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন হাবরা থানার সাব ইন্সপেক্টর নন্দন মণ্ডল, এএসআই মানিক মুখোপাধ্যায়, কনস্টেবল গোবিন্দ বাইন, বিশ্বনাথ মণ্ডল, রমেন বৈরাগী এবং সুব্রত মণ্ডল। এ ছাড়া থানায় কাজে আসা তিন জন সাধারণ নাগরিকও গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন। তাঁরা হলেন বিশ্বনাথ কুণ্ডু, সুশীল ঘোষ এবং আশুতোষ কর।
এমনিতেই প্রত্যেক বার পুজোর মরসুমে জেলার বিভিন্ন জায়গায় শব্দবাজির তাণ্ডব চলে। নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করতে তাই চলে পুলিশি অভিযানও। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন দুপুরে তেমন একটি অভিযান চালানো হয় হাবরা থানা এলাকায়। হাবরা বাজার থেকে নিষিদ্ধ প্রচুর শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশের একটি গাড়িতে করে নিয়ে আসা হয় থানা চত্বরে। গাড়ি থামা মাত্রই একটি-দু’টি করে শব্দবাজি ফাটতে শুরু করে। এর পরে টানা দু’-তিন মিনিট ধরে সমস্ত শব্দবাজি একসঙ্গে ফাটে। গোটা চত্বর ধোঁয়ায় ভরে ওঠে। সেই সঙ্গে জখমদের চিৎকার। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাজি ফেটে জখম হন ওই গাড়ির চালক-সহ ৬ জন পুলিশকর্মী। জখম হয়েছেন তিন জন সাধারণ নাগরিকও। তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কাছের স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বারাসতের এসডিপিও সুবীর চট্টোপাধ্যায়।