ডায়েরিতে নাম আছে শীর্ষ বিজেপি নেতার, সংসদে হট্টগোল তৃণমূলের

কোনও রাখঢাক না করেই রবিবারে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনের সমাবেশ থেকে তৃণমূলকে তখত্ থেকে উত্খাত করার ডাক দিয়েছিলেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সারদা থেকে বর্ধমান কাণ্ড— বিভিন্ন ঘটনাকে হাতিয়ার করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেঁধেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৯:৫৬
Share:

সংসদের বাইরে বিক্ষোভ তৃণমূল সাংসদের।

কোনও রাখঢাক না করেই রবিবারে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনের সমাবেশ থেকে তৃণমূলকে তখত্ থেকে উত্খাত করার ডাক দিয়েছিলেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সারদা থেকে বর্ধমান কাণ্ড— বিভিন্ন ঘটনাকে হাতিয়ার করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেঁধেন তিনি।

Advertisement

তার পরই সোমবার বিজেপিকে পাল্টা কটাক্ষের রাস্তায় গেল তৃণমূল। তিহাড় জেলে বন্দি সহারা প্রধান সুব্রত রায়ের ব্যক্তিগত ডায়েরিতে নাম আছে বিজেপি-র শীর্ষ নেতার, এই অভিযোগ তুলে এ দিন সংসদের দু’কক্ষেই হট্টগোল করেন তৃণমূল সাংসদেরা।

হাতে লাল ডায়েরি তুলে ধরে বিজেপিকে আক্রমণ করেন তাঁরা। অবিরাম স্লোগান দিতে থাকেন। কিন্তু সংসদের কোনও কক্ষেই তাঁদের কথা শোনা হয়নি, এই অভিযোগে দু’জায়গা থেকেই পরে ওয়াক আউট করেন তৃণমূল সাংসদেরা।

Advertisement


সংসদের বাইরে মুনমুন সেন।

সহারা প্রধান সুব্রত রায়ের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে নাম রয়েছে এক শীর্ষ বিজেপি নেতার। ডায়েরিতে নাম থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, জানতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন তৃণমূল সাংসদরা। সোমবার লোকসভায় এই দাবি করেন তাঁরা। প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন এ দিন সংসদে এই ইস্যু নিয়ে আলোচনা চেয়ে আবেদন জানান লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। সংসদের সদস্য নন এমন ব্যক্তির নাম প্ল্যাকার্ডে তুলে ধরে প্রতিবাদ জানানোর ঘটনাকে অসংসদীয় বলে মন্তব্য করেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু।

রাজ্যসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক ডেরেক ও’ব্রায়ান।

বিক্ষোভের রেশ ধরে রেখেই এর পর তৃণমূলকে বিঁধতে আসরে নামেন বিজেপি সাংসদ কিরিট সোমাইয়া। সারদা কাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ। তা সত্ত্বেও প্রতি ধাপে সিবিআই তদন্তে বাধা সৃষ্টি করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, অভিযোগ কিরিটের। প্রতিবাদে প্রবল হইহট্টগোল শুরু করেন তৃণমূল সাংসদেরা। তৃণমূলের অভিযোগকে ভিত্তিহীন জল্পনা বলে নস্যাত্ করে দেন স্র্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজ্জু। এই বিষয়টি তৃণমূলের রাজনৈতিক অভিসন্ধিমূলক এবং এমন কোনও ডায়েরি পাওয়া যায়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এর পর রাজ্যসভাতেও একই ইস্যুতে আলোচনার প্রস্তাব করেন ওই কক্ষে তৃণমূলের মুখ্য সচেতক ডেরেক ও’ব্রায়ান। কিন্তু সেই আবেদনও খারিজ হয়ে যায়।

ছবি: পিটিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement