জিস্যাট-১৬-এর উৎক্ষেপণ কৌরু থেকে। ছবি: এএফপি।
ভারতীয় সময় শনিবার রাত ২টো ১০ মিনিটে ফ্রেঞ্চ গায়ানার কৌরু স্পেস পোর্ট থেকে কৃত্রিম উপগ্রহ জিস্যাট-১৬-এর সফল উৎক্ষেপণ করল ভারত। এরিয়ান-৫ রকেটের মাধ্যমে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। জিস্যাট-এর সঙ্গে এ দিন ডিরেকটিভি-১৪ নামে একটি মার্কিন উপগ্রহেরও উৎক্ষেপণ করা হয়।
জিস্যাট-১৬-এর উৎক্ষেপণের দিন ক্ষণ ঠিক ছিল শুক্রবার। খারাপ আবহাওয়ার কারণে তা দু’বার বাতিল করে দেওয়া হয়। জিস্যাট-এর উৎক্ষেপণের পরই ইসরো জানিয়েছে উপগ্রহটি ভাল অবস্থাতেই রয়েছে। সোমবার ভোর ৩টে ৫০ মিনিটে উপগ্রহটিকে পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানোর প্রথম ধাপ শুরু করা হবে। পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবে ইসরোর মাস্টার কন্ট্রোল ফেসিলিটি (এমসিএফ)। ৩,১৮১ কিলোগ্রামের এই উপগ্রহটিতে মোট ৪৮টি ‘কমিউনিকেশন ট্র্যান্সপন্ডার’ রয়েছে। ইসরোর তৈরি সবচেয়ে বড় যোগাযোগকারী কৃত্রিম এই উপগ্রহটি ১২ বছর কর্মক্ষম থাকবে। মূলত সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন এবং রেডিও পরিষেবা, ইন্টারনেট এবং টেলিফোন পরিষেবার উন্নতির লক্ষ্যে জিস্যাট-১৬-এর উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বলে ইসরো জানিয়েছে। ল্যাম ইঞ্জিনের সাহায্যে তিন ধাপে উপগ্রহটিকে কক্ষপথে পাঠানো হবে। প্রথম ধাপের কাজ শুরু হবে সোমবার। আগামী ১২ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে এটিকে জিওস্টেশনারি কক্ষে পাঠানো হবে এবং পরের ধাপে ‘কমিউনিকেশন ট্র্যান্সপন্ডার’গুলি চালানো হবে। ভারতের পিএসএলভি এবং জিএসএলভি রকেট ২ টনের বেশি ওজন বহন করতে না পারায় এরিয়ান-৫ রকেটের মাধ্যমে জিস্যাট-১৬-এর উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে ২০১৩-য় এই কৃত্রিম উপগ্রহটির অনুমোদন দেয় সরকার। মোট ৮৬৬ কোটি টাকা খরচ করে উপগ্রহটি তৈরি করা হয়েছে।
জিস্যাট-এর উৎক্ষেপণের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইসরোর বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানান। জিস্যাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশের মহাকাশ গবেষেণার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় সম্পদ।”