চন্দ্রকোনায় দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৪ ১৯:০১
Share:

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার ইন্দা গ্রামে সোমবার একটি দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম মহসিন খান (৩০)। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকেরাই মহসিনকে খুন করেছে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মহসিনের বাবা সৈকত আলি তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থক-সহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রকোনা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনায় এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার শিসরাম ঝাঝোরিয়া।

Advertisement

এ দিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ইন্দা গ্রামের কাছে একটি নালায় মহসিনের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। ওই পরিবারের দাবি, মহসিন সিপিএমের কর্মী ছিলেন। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর তিনি গ্রামছাড়া হন। পঞ্চায়েত ভোট মিটে যাওয়ার পর ফের গ্রামে ফিরে আসেন তিনি। এর পর প্রায়ই তাঁকে নিজেদের মিটিং-মিছিলে নিয়ে যেত তৃণমূলের লোকেরা। রবিবার রাতেও তাঁকে তৃণমূলের দলীয় সভায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে মহসিনের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। ওই রাতে মহসিন বাড়ি ফেরেননি বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

মহসিনের মৃতদেহ উদ্ধারের পর খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে আরামবাগের ক্ষিরপাই সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ছাড়াও, রামজীবনপুর পুলিশ ফাঁড়িও অবরোধ করা হয়। ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ-অবরোধের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় র্যাফ ও পুলিশবাহিনী নামানো হয়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। এ দিন ওই এলাকায় যান ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী শক্তিমোহন মালিক। চন্দ্রকোনা ঘাটাল মহকুমার অন্তর্গত হলেও আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। ঘটনার জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন জেলা সিপিএম নেতৃত্বও। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার অভিযোগ করেন, তৃণমূল খুনের রাজনীতি শুরু করেছে। নির্বাচনী প্রচারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এলাকায় টহলদারি বাড়ানো ছাড়াও পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement