বেজিংয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। ছবি: পিটিআই।
২০১৪-র জুলাইয়ে ব্রিকস সম্মেলনে চিনা প্রেসিডেন্ট সি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রাথমিক কাজটা সেরেই এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। বাণিজ্য থেকে উন্নয়ন— সব দিক থেকেই ভারত যে ‘এশিয়ান জায়ান্ট’-এর আরও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী সে বার্তাও দিয়ে এসেছিলেন চিনা প্রেসিডেন্টকে। কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের চার দিনের চিন সফর এ বিষয়ে অনেক তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রবিবার সুষমা স্বরাজ চিনের উদ্দেশে রওনা হন। এই সফরে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন নতুন বিদেশ সচিব এস জয়শঙ্কর। আগামী মে মাসে চিন সফরে আসবেন মোদী— সে দেশের মাটিতে পা রেখেই এ কথা জানান কেন্দ্রায় বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তাঁর এই সফর যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তার একটা আভাসও দিয়েছেন সুষমা।
সুষমা আরও জানান, এটি তাঁর প্রস্তুতিমূলক সফর। মূলত ছ’টি বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে তাঁর এই সফরে। এগুলির মধ্যে রয়েছে— গঠনমূলক প্রক্রিয়া, দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার মতো বিষয়। চিনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ বিষয়ে প্রাথমিক কাজটা সেরে যাবেন তিনি। পাশাপাশি, তাঁর এই সফরের মধ্যে যে বিষয়টির উপর নজর থাকবে তা হল কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রার ক্ষেত্রে নতুন কোনও যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা। যাতে পূণ্যার্থীরা সরাসরি বাসে সেখানে পৌঁছতে পারেন।
বেজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাসে এক সাংবাদিক বৈঠকে দেশের উন্নয়নে মোদী সরকারের প্রচেষ্টাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সেখানকার ভারতীয়দের কাছে আবেদন জানান তিনি।