গোধরা কাণ্ডের চূড়ান্ত রিপোর্ট দিল নানাবতী কমিশন

ঘটনার ১২ বছর পর গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেনের হাতে গোধরা কাণ্ডের চূড়ান্ত রিপোর্ট তুলে দিল নানাবতী কমিশন। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে এই রিপোর্ট জমা দেয় কমিশন। নির্ধারিত সময়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন বিচারপতি জি টি নানাবতী। পুরো রিপোর্ট তৈরি করতে মোট ২৪ বার সময়সীমা বাড়িয়েছিল কমিশন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৪ ১৬:৩৯
Share:

—ফাইল চিত্র।

ঘটনার ১২ বছর পর গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেনের হাতে গোধরা কাণ্ডের চূড়ান্ত রিপোর্ট তুলে দিল নানাবতী কমিশন। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে এই রিপোর্ট জমা দেয় কমিশন।

Advertisement

নির্ধারিত সময়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন বিচারপতি জি টি নানাবতী। পুরো রিপোর্ট তৈরি করতে মোট ২৪ বার সময়সীমা বাড়িয়েছিল কমিশন। রাজ্য সরকার রিপোর্টের চূড়ান্ত সময়সীমা দিয়েছিল গত ৩১ অক্টোবর। কিন্তু সেই সময়ও পেরিয়ে যায়। পরে সুপ্রিম কোর্ট মামলার তদন্তকারী সংস্থা এবং আদালতকে এই মামলার রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেয়। অবশেষে এ দিন সেই রিপোর্ট জমা দেয় কমিশন।

এর আগে ২০০৮-এ এই কাণ্ডের আংশিক রিপোর্ট জমা দিয়েছিল কমিশন। সেই রিপোর্টে সবরমতী এক্সপ্রেসের এস-৬ কামরা পোড়ানোর পিছনে ষড়যন্ত্রের কথা বলা হয়েছিল।

Advertisement

২০০২-এর ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে করসেবকদের পুড়িয়ে মারার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে যে হিংসা ছড়িয়েছিল, সেই ঘটনার তদন্তে ওই বছরের ৩ মার্চ দুই সদস্যের একটি কমিশন গঠন করে গুজরাত সরকার। কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জি টি নানাবতী এবং কে জি শাহকে। কিন্তু ২০০৮-এ বিচারপতি শাহের মৃত্যুর পর বিচারপতি নানাবতীর সঙ্গে কমিশনের দায়িত্ব সামলান গুজরাত হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অক্ষয় মেহতা।

২০০২

২৭ ফেব্রুয়ারি: গোধরা স্টেশনের কাছে সবরমতী এক্সপ্রেসের এল-৬ কামরায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু ৫৯ করসেবকের। ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে এফআইর দায়ের।

২৮ ফেব্রুয়ারি: রাজ্যজুড়ে হিংসা। মৃত্যু হাজারেরও বেশি মানুষের।

৩ মার্চ: গোধরা কাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ নিরোধী আইনে (পোটা) মামলা।

৬ মার্চ: গোধরা এবং পরবর্তী হিংসার জন্য তদন্ত কমিশন গঠন রাজ্যের।

২৫ মার্চ: অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পোটা খারিজ আদালতে।

২০০৩

২১ নভেম্বর: গোধরা কাণ্ডের শুনানিতে স্থগিতাদেশ জারি সুপ্রিম কোর্টের।

২০০৪

৪ সেপ্টেম্বর: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইউ সি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন।

২০০৫

১৭ জানুয়ারি: ইউ সি বন্দ্যোপাধ্যায় কমিটির প্রাথমিক রিপোর্টে গোধরা কাণ্ডকে ‘দুর্ঘটনা’ বলা হল।

২০০৬

১৩ অক্টোবর: গুজরাত হাইকোর্ট ইউ সি বন্দ্যোপাধ্যায় কমিটিকে ‘অবৈধ’ ও ‘অসাংবিধানিক’ বলে ঘোষণা করে। আদালত জানায়, এ ব্যাপারে আগে থেকেই নানাবতী-শাহ কমিশন কাজ করছে।

২০০৮

২৬ মার্চ: গুজরাত হাইকোর্ট নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করল।

১৮ সেপ্টেম্বর: নানাবতী কমিশন জানায় গোধরা কাণ্ড ‘ষড়যন্ত্র’-এর ফল।

২০০৯

১ মে: গোধরা কাণ্ডের শুনানির উপর স্থগিতাদেশ তুলে নেয় সুপ্রিম কোর্ট। তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইয়ের তত্কালীন অধিকর্তা আর কে রাঘবনের হাতে।

২০১১

২২ ফেব্রুয়ারি: বিশেষ আদালতে গোধরা কাণ্ডে অভিযুক্ত ৩১ জন দোষী সাব্যস্ত।

১ মার্চ: বিশেষ আদালত ১১ জনকে ফাঁসি এবং ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল।

২০১৪

১৮ নভেম্বর: মুখ্যমন্ত্রীর হাতে চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ নানাবতী কমিশনের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement