কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানে গিয়ে তুষার ধসের মুখে পড়েছেন বাংলার পর্বতারোহী ছন্দা গায়েন। মঙ্গলবার সকালের ওই ঘটনার পর থেকে খোঁজ মেলেনি তাঁর। নিখোঁজ সঙ্গী দুই শেরপা পেমবা ও দাওয়া। কোনও মতে বেঁচে ফিরেছেন তৃতীয় শেরপা তাশি।
ছন্দার আশ মেটেনি এক বার কাঞ্চনজঙ্ঘা ছুঁয়ে। রবিবার মূল পথে শৃঙ্গ জয় করার পরেও ইয়ালুং কাং, অর্থাৎ বিশ্বের অন্যতম কঠিন পথটা দিয়েও আরও এক বার শৃঙ্গ ছোঁবেন, এই পরিকল্পনা করে ফের বেরিয়েছিলেন সামিট ক্যাম্প থেকে। কাঞ্চনজঙ্ঘার পশ্চিম দিক দিয়ে শৃঙ্গে পৌঁছনোর পথই এই ইয়ালুং কাং। সংকীর্ণ পথ ধরে এক পা এক পা করে এগোতে হয়। দু’দিকেই গভীর খাদ। সেই অসম্ভবের পথটাই বেছে নিয়েছিলেন ছন্দা।
অভিযানের নেশা, আরও একটা রেকর্ড সব মিলিয়ে ঠিক কোন টানে ছুটেছিলেন তিনি, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা। ইয়ালুং কাং-এর পথে শৃঙ্গ ছোঁয়ার কিছু ক্ষণ আগেই আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করে। তৎক্ষণাৎ ফেরার সিদ্ধান্ত নেন ছন্দারা।
তখনই নামে তুষারধসটা। তাশি শেরপা নিজেকে কোনও মতে বাঁচাতে পারলেও, শেষ রক্ষা হয়নি বাকি তিন জনের। ওঁদের নিয়ে নিচে নেমে যায় ধসটা।
ওখান থেকেই সরাসরি বেসক্যাম্পে ফিরে আসেন তাশি। মাঝে কেটে গিয়েছে প্রায় ২৪ ঘণ্টা। খবর আসে সমতলে। কাঠমাণ্ডু থেকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হেলিকপ্টার পাঠান মিংমা শেরপা। মিংমা শেরপার সংস্থার উদ্যোগেই ছন্দার অভিযানের ব্যবস্থাপনা হয়েছিল। বিকেল পর্যন্ত বেসক্যাম্প থেকে জানা গিয়েছে, হেলিকপ্টার কিছুই খুঁজে পায়নি। কাল ফের শুরু হবে উদ্ধার কাজ।