ভিয়েতনাম এবং চিনের প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে জিতু। ছবি: এএফপি।
এশিয়াডের প্রথম দিনেই সোনা জিতলেন ভারতের শ্যুটার জিতু রাই। ৫০ মিটার পিস্তল ইভেন্টে দেশকে প্রথম সোনা এনে দিলেন গোর্খা রেজিমেন্টের এই জওয়ান। গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জেতার পর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জিতেছিলেন জিতু। তবে এ বারের এশিয়াডে ভারতের প্রথম পদকটি পান শ্বেতা চৌধুরী। ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন তিনি।
কিছু দিন আগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জেতা জিতুর কাছ থেকে পদকের আশা করা হচ্ছিল প্রথম থেকেই। এ দিন শ্যুটিং রেঞ্জে প্রথম থেকেই ছন্দে ছিলেন তিনি। ১৭তম রাউন্ডের পর কিছুটা পিছিয়ে গেলেও পরের রাউন্ড থেকেই নির্দিষ্ট লক্ষে এগোতে থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৮৬.২ পয়েন্ট পেয়ে সোনা জেতেন তিনি। তবে জিতু সফল হলেও ব্যর্থ হলেন ওঙ্কার সিংহ। একই ইভেন্টে যোগ্যতামানই পেরতে পারলেন না তিনি।
জিতু সোনা জিতলেও ১৭তম এশিয়াডে দেশকে প্রথম পদক এনে দিয়েছিলেন আরেক শ্যুটার শ্বেতা চৌধুরী। ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জেতেন তিনি। ওএনজিসি-র এই কর্মীর পয়েন্ট (১৭৬.৪) অবশ্য প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানাধিকারীর অনেকটাই পিছনে। ফয়সলাবাদের এই শ্যুটার ইনচিয়নে আসার পর থেকেই সমস্যায় পড়েছিলেন। মাত্র কয়েক দিন আগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ হওয়ায় সেখান থেকে সরাসরি কোরিয়া এসেছিলেন তিনি। কিন্তু ইনচিয়নে পা দিতেই তাঁর পিস্তলটি বাজেয়াপ্ত করে শুল্ক দফতর। অন্য একটি পিস্তল নিয়ে এ দিন প্রতিযোগিতায় নামেন তিনি। পিস্তল সমস্যা নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও দেশকে প্রথম পদক এনে দিয়ে উল্লসিত শ্বেতা বলেন, “নিজের সব সময়ের পিস্তল নিয়ে নামতে পারলে ভাল হত। তবে দেশকে প্রথম পদক দিতে পেরে গর্বিত। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ভাল খেলতে পারিনি। ১৬ ও ১৭তম রাউন্ডে খারাপ শট না মারলে সোনা জিততে পারতাম। তবে ব্রোঞ্জ জিতে আমি খুশি।” তবে শ্বেতার সাফল্যের দিনে ব্যর্থ হলেন হিনা সিন্ধু এবং মালাইকা গোয়েল। নিজেদের ইভেন্টের ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ এই শ্যুটাররা দলগত বিভাগেও পঞ্চম স্থানে শেষ করলেন।
জয় দিয়ে এশিয়াড অভিযান শুরু করল ভারতের মহিল ব্যাডমিন্টন দলও। সাইনা-সিন্ধুদের হাতে দুরমুশ হয়ে ৩-০ ফলে হারল ম্যাকাও। এই জয়ের ফলে দলগত বিভাগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল ভারত।