দীর্ঘ দিন ধরেই গ্রামে নিষিদ্ধ মাদকের ঠেক বসত। বাইরের লোকও এসে ভিড় জমাত সেই ঠেকে। নিরাপত্তার অভাব বোধ করতেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রশাসনের কাছে একাধিক বার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে এলাকার দুই মহিলাই রুখে দাঁড়ালেন। আর সেই প্রতিবাদের মাশুল গুনতে হল হাতেনাতে। শাবল এবং লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। ঘটনায় গুরুতর জখম ওই দুই মহিলা আপাতত বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিবাদী ওই দু’জনের নাম অভিরুন খাতুন এবং আসরা হাজমা। বছর চল্লিশের এই দুই মহিলাই মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করতে গিয়ে জখম হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আহম্মদ মণ্ডল নামে গ্রামেরই এক বাসিন্দার বাড়িতে ওই ঠেক বসে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিরুন এবং আসরা কয়েক জন মহিলাকে নিয়ে আহম্মদের বাড়িতে হাজির হন। তখন আহম্মদের বাড়িতে মাদকের ঠেক বসেছিল। ঘটনার প্রতিবাদ করায় আহম্মদ-সহ বেশ কয়েক জন বাইরে বেরিয়ে আসে। শাবল, লাঠি দিয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অভিরুনের বাঁ কান কেটে যায়। সেখানে ৫টি সেলাই পড়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।। আসরার মুখ ফেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করেন গ্রামের লোকেরা। পরে স্থানীয়রাই আহম্মদকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। অন্য অভিযুক্তরা পলাতক।