বেটিং কাণ্ডে জড়িত কোনও ক্রিকেটার নয়, মুদগল কমিটির রিপোর্ট থেকে শুধুমাত্র ক্রিকেট প্রশাসনে জড়িত চার জনের নাম সামনে আনল সুপ্রিম কোর্ট। আর এই চার জনের মধ্যে প্রথম নামটি ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিসিসিআই-এর বার্ষিক সাধারণ সভা মাস দু’য়েক পিছনোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল বোর্ড।
শুক্রবার আইপিএল বেটিং নিয়ে মুদগল কমিটির রিপোর্টের অংশবিশেষ প্রকাশ্যে আনল শীর্ষ আদালত। এঁদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচ্য এবং প্রথম নামটি অবশ্যই নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের। বাকি তিন জন হলেন শ্রীনির জামাই গুরুনাথ মইয়াপ্পন, আইপিএল-এর সিইও সুন্দররামন এবং রাজস্থান রয়্যালসের কর্তা রাজ কুন্দ্রা। অভিযুক্ত চার জনের প্রত্যেককেই মামলার নথি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আদালত। নথি দেওয়া হয়েছে বিসিসিআইকেও। রিপোর্ট নিয়ে আপত্তি থাকলে আগামী চার দিনের মধ্যে আদালতে তা জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ নভেম্বর।
(বাঁ দিক থেকে) শ্রীনিবাসন, সুন্দররামন, গুরুনাথ মইয়াপ্পন ও রাজ কুন্দ্রা।
এ দিন আদালত রিপোর্টে উল্লিখিত তিন ক্রিকেটারের নামও জানিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু তার পরে মিডিয়া এবং উপস্থিত সকলকেই নামগুলি প্রকাশ্যে না আনতে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সূত্রের খবর, তিন জনের মধ্যে এক জন ভারতীয় দলের নিয়মিত সদস্য, খেলেছেন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শেষ এক দিনের ম্যাচেও। বাকিদের মধ্যে রয়েছেন একজন বিদেশি ক্রিকেটারও। এই বিদেশি ক্রিকেটার নাইট রাইডার্সের হয়েও খেলেছেন বলে দাবি। সূত্রের খবর, এ ছাড়াও রিপোর্টে রয়েছে পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটরের নাম। তবে এদের কারও নামই এ দিন সামনে আনা হয়নি। বোর্ড-সহ বাকিদের যে নথি দেওয়া হয়েছে সেখান থেকেও ক্রিকেটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই ছিল বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা। এ দিন রিপোর্টে শ্রীনির নাম প্রকাশ্যে আসতেই বোর্ডের আইনজীবী আদালতে জানান, জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে এজিএম। “বোর্ড আর শ্রীনি যে কতটা ‘একাত্ম’ এই ঘটনাই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। এখনও সময় আছে, শ্রীনির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া উচিত বোর্ডের বাকি সদস্যদের”—মন্তব্য করেন বিহার ক্রিকেট সংস্থার প্রধান আদিত্যপ্রসাদ বর্মা।
রিপোর্টে মইয়াপ্পনের নাম থাকায় চেন্নাই সুপার কিংস-এর (সিএসকে) আইপিএল ভবিষ্যত্ বিপন্ন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিপন্ন কুন্দ্রার রাজস্থান রয়্যালসও। আপাতত সবার চোখ ২৪ নভেম্বরের দিকে।