প্রীতম মুন্ডে।
হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রে বিজেপি-র ‘একলা চলো’ নীতি যখন সাফল্যের মুখ দেখছে, ঠিক তখনই ‘একক’ ভাবে অন্য এক সফলতার নজির গড়লেন দলেরই এক তরুণ সাংসদ। তিনি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি-র সদ্য প্রয়াত নেতা গোপীনাথ মুন্ডের ছোটমেয়ে প্রীতম। বাবার মৃত্যুতে বীড় লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রীতমই ছিলেন বিজেপি-র প্রার্থী। রবিবারে ফল ঘোষণার পর দেখা যায়, তিনি ওই কেন্দ্র থেকে ছয় লাখেরও বেশি ব্যবধানে জিতেছেন। একক ভাবে কোনও প্রার্থীর এখনও পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বেশি ভোটে জেতার রেকর্ড।
৩২ বছরের প্রীতম এ বার পিতৃভূমি বীড়-এর উপ-নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে লড়েন। এ বছরের জুনে গোপীনাথ মুন্ডের মৃত্যুর পর ওই লোকসভা আসনটি ফাঁকা হয়।। টিকিট পান তাঁর ছোটমেয়ে প্রীতম। গত ১৫ অক্টোবর ওই লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হয়। রবিবার রাজ্যে বিধানসভার পাশাপাশি উপ-নির্বাচনের ফলও ঘোষিত হয়। রাজ্য জুড়ে যখন বিজেপি-র উত্থানে ‘গেরুয়া ঝড়’ বইছে, তখন মধ্য মহারাষ্ট্রের বীড়েও নীরবে ইতিহাস তৈরি করলেন গোপীনাথ কন্যা। ওই কেন্দ্র থেকে ৬ লাখ ৯২ হাজার ২৪৫ ভোটে জেতেন তিনি। যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর খাস তালুক বডোদরায় তাঁর প্রাপ্ত ভোটের থেকে লাখ খানেকেরও বেশি। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ব্যক্তিগত প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে এত দিন নরেন্দ্র মোদীর স্থান ছিল শীর্ষে। এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বডোদরা কেন্দ্রে তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৫ লক্ষ ৭০ হাজার। প্রীতম এ বার পিছনে ফেলে দিলেন খোদ মোদীকে। ঘটনাচক্রে, মহারাষ্ট্রে বিজেপির বিজয় রথে যখন সামিল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব, রাজ্যের ওই কেন্দ্রে তখন একাই দলের ধ্বজা ওড়ালেন প্রয়াত বিজেপি নেতার এই কন্যা। বিধানসভায় শতাধিক আসন জেতার উত্সবের আবহে তাঁর জয় কিছুটা ‘ফিকে’ হয়ে গেলেও প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে প্রীতম কিন্তু স্বয়ং মোদীকে ‘ফিকে’ করে দিয়েছেন।
এর আগে ২০০৪-এর লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের আরামবাগ কেন্দ্র থেকে বামফ্রন্ট প্রার্থী অনিল বসু ৫ লক্ষ ৯২ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন।