মোহনবাঁশি রুদ্রপাল।—ফাইল চিত্র।
প্রয়াত হলেন মৃৎশিল্পী মোহনবাঁশি রুদ্রপাল। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২। বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। মঙ্গলবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকাল পাঁচটা নাগাদ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ঢাকার বিক্রমপুরের বারো ঘরে ১৯২২ সালে মোহনবাঁশিবাবুর জন্ম। পড়াশোনা এবং বেড়ে ওঠা সেখানেই। তিনি তখন সদ্য কিশোর। সেই সময় দাঙ্গা ও দেশভাগের ফলে ও পারের মৃৎশিল্পীরা তখন কলকাতামুখী। বিক্রমপুর থেকে দাদা রাখালচন্দ্র রুদ্রপালের সঙ্গে কলকাতায় এলেন তিনি। উঠলেন কালীঘাটে। তার কিছু দিনের মধ্যেই আস্তানা হল কুমোরটুলি। পঞ্চাশের দশকের সেই সময় থেকেই সেখানে পূর্ববঙ্গের মৃৎশিল্পীদেরই দাপট। এখানকার শিল্পীদের তখন জগৎ জোড়া খ্যাতি। তালিকার অন্যতম মোহনবাঁশি। শারীরিক ভাবে অসমর্থ হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি ছিলেন প্রতিমা নির্মাণের সাবেকি ঘরানার একনিষ্ঠ শিল্পী। বছর আটেক ধরে সল্টলেকের বি জে ব্লকের বাড়িতে থাকতেন তিনি।
এ দিন তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া গোটা কুমোরটুলিতে। হাসপাতাল থেকে প্রথমে সল্টলেকের বাড়ি, সেখান থেকে কুমোরটুলিতে নিয়ে আসা হয় তাঁর দেহ। মোহনবাঁশির শেষযাত্রায় হাজির হন তাঁর অগণিত গুণমুগ্ধ। তাঁর ছেলে তথা শিল্পী প্রদীপ রুদ্রপাল বলেন, “বাবার মৃত্যুতে একটা প্রজন্ম শেষ হয়ে গেল। পারিবারিক ভাবে তো বটেই, কুমোরটুলির এই ক্ষতি আর পূরণ হবে না।”