রাজ্যে ফের এক বার যৌন নির্যাতনের শিকার হল নাবালিকারা। উত্তরবঙ্গের মালদহ এবং দক্ষিণবঙ্গের বাসন্তীতে, রাজ্যের দুই প্রান্তে ধর্ষণের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি দুই নাবালিকা।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচলে। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে চাঁচলের পাহাড়পুরে বছর আটেকের এক বালিকাকে ধর্ষণ করে বছর পনেরোর এক কিশোর। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক বছর আগে ওই নাবালিকার বাবা মারা গিয়েছে। তার মা কাজ করেন দিল্লিতে। সেখানেই থাকেন তিনি। পাহাড়পুরের বাড়িতে দিদার সঙ্গে থাকত ওই নাবালিকা। শুক্রবার রাতে ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে তাদের বাড়িতে ঢোকে প্রতিবেশী এক কিশোর। অভিযোগ, বাড়িতে ঢুকে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে সে। নাবালিকার কান্না ও চিত্কারে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আহত ওই নাবালিকাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকেরা।
অন্য দিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর জীবনতলায় বছর ষোলোর এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে দুই যুবক। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা ওই কিশোরীর বাড়ি বাসন্তী থানার গড়ানবোস এলাকায়। দিন পনেরো আগে, জীবনতলা থানার মহিষাড়া গ্রামের বাসিন্দা নুর আলম মিস্ত্রি নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই নির্যাতিতার। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে ওই কিশোরী জানিয়েছে, তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেয় অভিযুক্ত ওই যুবক। বিয়ে করবে বলে গত বৃহস্পতিবার কারওকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে জীবনতলায় ওই যুবকের কাছে চলে আসে কিশোরী। সারা দিন ধরে এলাকায় ঘোরাঘুরিও করতে দেখা যায় দু’জনকে। এর পরই, শুক্রবার রাতে পাতিখালি এলাকার একটি ফাঁকা মাঠে ওই কিশোরীকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে নুর আলম মিস্ত্রি এবং হাসান মিস্ত্রি নামে ওই দুই যুবক। প্রতিবাদ করলে এবং ধর্ষণের কথা সকলকে জানিয়ে দেওয়ার ভয় দেখালে ওই কিশোরীকে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে অভিযুক্তেরা। আঘাতের চোটে কিশোরী অজ্ঞান হয়ে গেলে, মৃত ভেবে তাকে ফেলে রেখে পালায় যুবকেরা।
শনিবার ভোরে জ্ঞান ফিরলে কোনও মতে রাস্তার ধারে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের নির্যাতনের কথা জানায় ওই নাবালিকা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে প্রথমে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে হাসান মিস্ত্রিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর অভিযুক্ত নুর আলমের খোঁজে তল্লাশি চলছে।