দাউ দাউ করে জ্বলছে ট্রাক। ছবি: পিটিআই।
সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একের পর এক গাড়িতে জ্বলছে আগুন। জ্বলছে তেলের ট্যাঙ্কার, এমনকী এলপিজি সিলিন্ডার ভর্তি ট্রাকও। আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছে সবাই। মাওবাদীদের ডাকা দু’দিনের বিহার-ঝাড়খণ্ড বন্ধের প্রথম দিন এমন ঘটনার সাক্ষী থাকল বিহারের গয়া।
সোমবার ভোরে গয়ার কাছে বিষ্ণুপুর এবং তারাডিহি গ্রামের মাঝে জিটি রোডের উপর এই হামলা চালায় মাওবাদীরা। পটনা পুলিশের আইজি কুন্দন কৃষ্ণান জানান, ২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ৩২টি গাড়িতে প্রায় ৫০ জনের একটি মাওবাদী দল আগুন লাগিয়ে দেয়। এর মধ্যে এলপিজি সিলিন্ডার বোঝাই চারটি ট্রাক ছিল। ছিল একটি তেলের ট্যাঙ্কারও। তবে এই পাঁচটি গাড়ির চালকের কেবিনে আগুন লাগানো হয়। কোনও ভাবে তা পিছনের অংশে ছড়িয়ে পড়েনি বলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে কৃষ্ণাণের দাবি। যাত্রিবাহী গাড়িগুলি থেকে প্রথমে তারা যাত্রীদের নামিয়ে দেয় বলেও কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
গত ১৬ মে সিআরপিএফ-এর সঙ্গে সংঘর্ষে মাওবাদী নেত্রী সরিতা ওরফে ঊর্মিলা গাঞ্জু নিহত হন। তিনি মাওবাদীদের বিহার-ঝাড়খণ্ড-ছত্তীসগঢ় বিশেষ আঞ্চলিক কমিটির সদস্য ছিলেন। সেই ঘটনার প্রতিবাদে সোম এবং মঙ্গলবার দু’দিনের জন্য বিহার-ঝাড়খণ্ড বন্ধের ডাক দেয় তারা। কিন্তু বন্ধ শুরুর দিনই বড়সড় হামলা চালানোয় প্রশাসনের কপালে ভাঁজ দেখা দিয়েছে।
অন্য দিকে, বিহারের সারন জেলার পানাপুরে একটি মোবাইল টাওয়ার উড়িয়ে দিয়েছে সশস্ত্র মাওবাদীরা।