গিরিশ পার্ক কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত গোপাল তিওয়ারির ঘনিষ্ঠ আরও এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম ছটু দাস। শুক্রবার সকালে ছটুকে বীরভূমের নলহাটি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জেরা করে গিরিশ পার্কের কাছে গোপালের পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটের বাড়ি থেকে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত গোপাল এখনও অধরাই।
ভোট সন্ত্রাসে গিরিশ পার্ক থানার সাব-ইনস্পেক্টরের গুলিবিদ্ধ হওয়ায় ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার দিনই তাদেরকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ বাবুঘাট থেকে গ্রেফতার করা হয়। তবে মধ্য কলকাতার এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এবং পুলিশের একাংশের সোর্স হওয়ায় বরাবরই বড়বাজারের কুখ্যাত দুষ্কৃতী গোপালকে গ্রেফতারির ব্যাপারে ঢিলেঢালা তদন্ত চালানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
গত ১৮ এপ্রিল ভোটপর্ব চলাকালীনই কলকাতা পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিংহিবাগানে রাজেন্দ্র মল্লিক রোডের কংগ্রেস কার্যালয়ের সামনে দুপুরে শুরু হয় বোমাবাজি। পরে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা ও তৃণমূলের হামলার প্রতিবাদে গিরিশ পার্কে রাস্তা অবরোধ করেন কংগ্রেসের সমর্থকেরা। পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।
তখনকার মতো গোলমালে ইতি পড়লেও ভোটপর্ব শেষ হওয়ার পরে ফের গোলমাল বাধে। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ বারাণসী ঘোষ লেন ও সিংহিবাগান মোড়ের দু’দিক থেকে বেশ কিছু দুষ্কৃতী এলাকায় ঢুকে ভেঙে দেয় কংগ্রেসের একটি অফিস। তিনটি বোমাও পড়ে। সেই সময় বারাণসী ঘোষ রোডের দিকে সাব-ইনস্পেক্টর জগন্নাথ মণ্ডল-সহ জনা দশেক পুলিশ দুষ্কৃতীদের দিকে এগিয়ে যায়। তখনই ওই পুলিশদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক জন দুষ্কৃতী। গুলি লাগে এসআই জগন্নাথ মণ্ডলের শরীরে।