ফের বিস্ফোরণ ব্রাক্ষণবাড়ের সেই বাজি কারখানায়

পিংলার ব্রাক্ষণবাড় গ্রামে ফের বিস্ফোরণ! পরপর তিন বার। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ পূর্বের ঘটনাস্থলেই ফের বিস্ফোরণ হয়। একই জায়গায় এই বিস্ফোরণে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ, বার বার বলা সত্ত্বেও পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা নেয়নি। ওই কারখানায় আরও অনেক বোমা মজুত রয়েছে। সেগুলি থেকেই বিস্ফোরণ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পিংলা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৫ ১৫:০১
Share:

পিংলার ব্রাক্ষণবাড় গ্রামে ফের বিস্ফোরণ! পরপর তিন বার।

Advertisement

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ পূর্বের ঘটনাস্থলেই ফের বিস্ফোরণ হয়। একই জায়গায় এই বিস্ফোরণে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ, বার বার বলা সত্ত্বেও পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা নেয়নি। ওই কারখানায় আরও অনেক বোমা মজুত রয়েছে। সেগুলি থেকেই বিস্ফোরণ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন বামপন্থী বিদ্বজ্জন ভারতী মুৎসুদ্দির নেতৃত্বে একটি দল পিংলায় বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করতে যায়। দলটি যখন বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখছে তখন আচমকাই পরপর তিন বার বিস্ফোরণ হয়। যদিও এ দিনের এই বিস্ফোরণে কেউ আহত হননি।

বিস্ফোরণের শব্দে এলাকাবাসীও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাঁরা জানান, বিস্ফোরণের তীব্রতা অনেক বেশি ছিল। বোমা ফেটেই এই বিস্ফোরণ বলে তাঁদের অনুমান। যদিও গ্রামের পুলিশ ক্যাম্পে থাকা পুলিশকর্মীদের দাবি, এ দিন কোনও বিস্ফোরণ হয়নি। তবে পুলিশেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজি কারখানার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনও বেশ কিছু বাজি রয়ে গিয়েছে। সে রকমই মজুত কোনও বড় শব্দবাজি এ দিন ফেটেছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর বিদ্বজ্জনেদের দলটি পিংলা থানায় যায়।

গত ৬ মে রাতে ব্রাক্ষণবাড় গ্রামের অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ছয় শিশুশ্রমিক-সহ মৃত্যু হয় ১২ জনের। গুরুতর জখম হয় অনেকে। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে শাসক দলেরও। ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। তবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কে এই তদন্তের ভার নেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে ইতিমধ্যে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement