অজয়ের চর থেকে আজাদ মুন্সির দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। বুধবার সেখানেই তার ময়নাতদন্ত হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তে তার মাথায় গুলির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়াও বহু দুষ্কর্মে অভিযুক্ত আজাদের দেহে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন মিলেছে বলে পুলিশের দাবি।
এ দিন সকাল থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে। বেলার দিকে বীরভূমের নানুর থেকে আজাদের দেহ নিতে আসে প্রায় ৫০টি গাড়ির কনভয়। আশ্চর্যজনক ভাবে কনভয়ের প্রত্যেকটি গাড়িতেই ছিল তৃণমূলের পতাকা। আজাদের ভাই অঞ্জনও হাসপাতালে আসেন ওই কনভয়ের সঙ্গে। ময়নাতদন্ত শেষে বিকেল ৪টে নাগাদ তৃণমূলের পতাকায় জড়ানো আজাদের দেহ নিয়ে ওই কনভয় রওনা দেয় নানুরের পাপুরির উদ্দেশে। সেখানেই কবর দেওয়া হবে ওই দুষ্কৃতীর দেহ।
বোলপুরের তৃণমূল জেলা কার্য্যালয় থেকে গত সপ্তাহের বুধবার নিখোঁজ হয়ে যায় আজাদ। এর সপ্তাহখানেক বাদে গত মঙ্গলবার তার দেহ মেলে মঙ্গলকোটের অজয় নদের চর খুঁড়ে। এই এলাকাই ছিল তাঁর এক সময়ের ডেরা। ওই দিন প্রায় ৯ ফুট গভীর গর্ত থেকে ফ্লেক্স মোড়ানো আজাদের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আজাদ নিখোঁজ এবং খুনের ঘটনায় বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী ১৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবার। এ দিন তৃণমূলের পতাকায় মোড়া আজাদের দেহ দলীয় পতাকা লাগানো কনভয়ে করে তার গ্রামে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বীরভূমে দলের গোষ্টীদ্বন্দ্বই ফের এক বার প্রকাশ্যে এল বলে রাজনৈতিক মহলের মত।