চলছে পুলিশি অভিযান। ছবি: এএফপি।
ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সন্ত্রাসের পরিকল্পনা বানচাল করল অস্ট্রেলিয়া। এই পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার ভোরে সিডনি ও ব্রিসবেনের বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে মোট ১৫ জনকে আটক করেছে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট জানান, সিডনিতে প্রকাশ্যে কোনও ব্যক্তির মুণ্ডচ্ছেদের পরিকল্পনা করেছিল আইএস-এর সঙ্গে জড়িত এই ব্যক্তিরা। ঠিক হয়েছিল, রাস্তা থেকে কোনও সাধারণ নাগরিককে অপহরণ করে তাঁকে আইএস-এর কালো পতাকা জড়িয়ে প্রকাশ্যে মুণ্ডচ্ছেদ করা হবে। আইএস সংগঠনের শীর্ষস্তরের এক নেতার নির্দেশেই এই পরিকল্পনা হয়েছিল বলে টনি অ্যাবট জানান। অস্ট্রেলীয় গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর, প্রায় ১৬০ জন অস্ট্রেলীয় আইএস-এর হয়ে ইরাক ও সিরিয়ায় লড়াই করছে। এর মধ্যে ২০ জন দেশে ফিরেও এসেছে। এদের নিয়েই চিন্তায় রয়েছে অস্ট্রেলীয় প্রশাসন। সূত্রের খবর, আইএস-এর শীর্ষ জঙ্গি মহম্মদ আলি বারিয়ালের একটি ফোন কল ট্যাপ করেই এই পরিকল্পনার কথা জানতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দারা।
ছবি: রয়টার্স।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে সিডনি ও ব্রিসবেনের বেশ কিছু জায়গায় পুলিশ হানা দেয়। সামরিক ভাবে সুসজ্জিত প্রায় ৮০০ জন পুলিশকর্মী এই অভিযানে অংশ নেন। মোট ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে এক জন ২২ বছরের ওমরজান আজারি। আদালতে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেননি। আইনজীবী জানান, কয়েকটি ফোন কলের সূত্রে ওমরজানকে পুলিশ আটক করেছে। ২৫টি গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে সিডনির ১২টি জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। একই সঙ্গে ব্রিসবেনেও অভিযান হয়েছে। তবে এর সঙ্গে সিডনির পুলিশি অভিযানের সরাসরি সম্পর্ক নেই বলে জানা গিয়েছে। এখানে দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
বেশ কিছু দিন ধরেই আইএস বিরোধী অভিযানে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া। আইএস বিরোধী মার্কিন অভিযানের অংশ হতে এর মধ্যেই সংযুক্ত আরব-আমিরশাহীতে ৬০০ সেনা ও যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সিডনিতেই প্রায় ৫ লক্ষ মুসলিম বাস করেন। স্থানীয় মুসলিম সংগঠনগুলির প্রশ্ন, সমস্ত প্রমাণ খতিয়ে দেখেই কি অভিযান চালানো হয়েছে? এই ধরনের অভিযান অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে বলে সংগঠনগুলির আশঙ্কা।