ফের আদালতে তোলা হল এমপিএস-এর কর্ণধার প্রমথনাথ মান্নাকে। আমানতকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে প্রমথনাথকে পেশ করা হয়। গত কয়েক বারের মতো এ বারেও আদালত চত্বরে এজেন্ট ও আমানতকারীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। এ দিন তাঁকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে বিচারক। ১ নভেম্বর নিউ টাউনশিপ থানায় তাপস বাগচি নামে এক আমানতকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে এই রায় দেওয়া হল। ফলে ওই থানাতেই পুলিশি হেফাজতে থাকবেন প্রমথনাথবাবু।
এ দিন তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে শুনে দুুপুর থেকেই আদালতের আশপাশে জড়ো হতে থাকেন এমপিএস এজেন্ট ও আমানতকারীরা। দুপুরে আদালত কক্ষের ভিতরে প্রমথনাথকে নিয়ে যাওয়ার পথে দেখা যায়, আদালত চত্বরে জড়ো হয়েছেন জনা চল্লিশেক এজেন্ট ও আমানতকারী। প্রমথনাথকে দেখামাত্রই স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। লগ্নির টাকা ফেরত্ চেয়ে এমপিএস কর্ণধারের উদ্দেশে চিৎকার করে উঠেন তাঁরা। তাঁদের বিক্ষোভের মুখেই প্রমথনাথকে তড়িঘড়ি আদালত কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুর্গাপুরের আমানতকারীদের দাবি, গত বছরের জুলাইয়ে শেষ বার এমপিএস থেকে টাকা ফেরৎ পেয়েছেন তাঁরা। লগ্নির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে বার বার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও টাকা ফেরৎ পাননি তাঁরা। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে দুর্গাপুর ও নিউ টাউনশিপ থানায় দু’টি অভিযোগ করেছেন আমানতকারীরা। একটি অভিযোগে প্রমথনাথ-সহ সংস্থার ১০ জন এজেন্ট এবং অন্য অভিযোগে প্রমথনাথ এবং এমপিএস-এর ৮ জন ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই দুই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। রবিবার দুর্গাপুরের আমানতকারীরা নিজেদের মধ্যে বৈঠকে স্থির করেন, সোমবার আদালতে প্রমথনাথের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাবেন তাঁরা।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর শ্যামল সেন কমিশনে এসে গ্রেফতার হন প্রমথনাথ ও সংস্থার এক ডিরেক্টর প্রবীর চন্দ্র। বাঁকুড়ার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে তাঁদের প্রথমে তিন দিন পুলিশি হেফাজত এবং পরে ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছিল।