উচ্চ মাধ্যমিকে পঞ্চম বোলপুরের ঋষিতা। নিজস্ব চিত্র।
রাঙামাটির দেশের মেয়ে। বাড়িতে ছিল ইতিহাস চর্চার আবহ। ভালবাসেন অবসরে গল্পের বইয়ে ডুবে থাকতে। বীরভূমের সেই ঋষিতা সিন্হা মহাপাত্রই এ বারের উচ্চ মাধ্যমিকে যুগ্ম ভাবে পঞ্চম স্থানে। দ্বাদশে কলা বিভাগে পড়েই তিনি দখল করে নিয়েছেন এই স্থান।
বোলপুরের নব নালন্দা শান্তিনিকেতন এইচএস স্কুলের ঋষিতার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২। পড়াশোনায় বরাবরই ভাল ঋষিতা। পরীক্ষাও ভাল হয়েছিল। আশা ছিল ফলাফল ভালই হবে। কিন্তু দুপুর ১২টায় ফল ঘোষণার সময় মেধাতালিকায় তাঁর নাম শুনে খানিক অবিশ্বাস্য ঠেকছিল তাঁর। মাকে বলেছিলেন ঠিক করে যাচাই করে নিতে। কিন্তু আত্মবিশ্বাসী মা জানতেন এই ফল তাঁর মেয়ের বই অন্য কারও নয়।
মেধাবী ঋষিতা উচ্চ মাধ্যমিকের প্রস্তুতির জন্য প্রতিদিন ৮-১০ ঘন্টা সময় দিতেন। অবসরে গল্পের বই ছাড়াও মেতে উঠতেন বোনের সঙ্গে আড্ডা বা খুনসুটিতে। বাবা মঙ্গলকোট ডিগ্রি কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপক হলেও ঋষিতা ভবিষ্যতে ওই পথে হাঁটতে চান না। হতে চান ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস (আইএফএস)-এর অফিসার। মেয়ের সাফল্যে গর্বিত মা জানিয়েছেন, মেয়েকে কখনওই পড়ার জন্য বলতে হত না। আশাবাদী ছিলেন, মেয়ে নিশ্চিত ভাবে সাফল্যের মুখ দেখবে। সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় খুশিতে উদ্বেল পরিবার-সহ শিক্ষক-শিক্ষিকারা।