প্রকাশিত হল রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল। প্রথম হয়েছেন মহম্মদ সাহিল আখতার (বাঁ দিকে)। দ্বিতীয় হয়েছেন সোহম দাস (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।
জয়েন্ট এন্ট্রান্সে সফল পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইটারে লিখলেন, ‘‘আমি অসম্ভব খুশি যে, জয়েন্ট এন্ট্রান্সে সফল পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৩ শতাংশই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের। এ বছর ২৭.৫ শতাংশ সফল পরীক্ষার্থী মহিলা। তোমাদের দারুণ ফল আমাদের গর্বিত করেছে। আমি সকল সফল পড়ুয়া, তাঁদের অভিভাবক এবং শিক্ষকদের অভিনন্দন জানাই।’’
রাজ্যে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আসনসংখ্যা প্রায় ৩৪ হাজার। ৩০ জুনের পর শুরু হবে কাউন্সেলিং।
২০২৩ সালের জয়েন্টে তৃতীয় হয়েছেন সারা মুখোপাধ্যায়। তিনি বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। সারা উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের ছাত্রী। চতুর্থ হয়েছেন সৌহার্দ্য দণ্ডপাট। তিনি মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র। পঞ্চম হয়েছেন অয়ন গোস্বামী। তিনি দুর্গাপুরের হেমশীলা মডেল স্কুলের ছাত্র। সিবিএসই বোর্ডের। ষষ্ঠ হয়েছেন অরিত্র অম্বুধ দত্ত। সোদপুরের নারায়ণা স্কুলের। সিবিএসই বোর্ডের ছাত্র। সপ্তম হয়েছেন কিন্তন সাহা। রাজস্থানের মা ভারতী স্কুলের ছাত্র। অষ্টম হয়েছেম সাগ্নিক নন্দী। বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্রী। উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের। নবম হয়েছেন রক্তিম কুণ্ডু। রাজস্থানের দিশা ডেলফি পাবলিক স্কুলের ছাত্র তিনি। জয়েন্টে দশম শ্রীরাজ চন্দ্র। কাটোয়া হোলি এঞ্জেল স্কুলের ছাত্র। আইএসসি বোর্ডের তিনি।
২০২৩ সালে জয়েন্টে প্রথম হয়েছেন মহম্মদ সাহিল আখতার। তিনি ডিপিএস রুবি পার্কের ছাত্র। দ্বিতীয় হয়েছেন ডিপিএস রুবি পার্কেরই সোহম দাস। তাঁরা দু’জনেই সিবিএসই বোর্ডের ছাত্র।
জয়েন্টে সফল পড়ুয়াদের মধ্যে ৫১ হাজার ৩৪৫ জন উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের। আইএসসি পরীক্ষার্থী ২ হাজার ১৪২ জন। সিবিএসই পরীক্ষার্থী ২৮ হাজার ২৭ জন। বাকি বোর্ড থেকে জয়েন্ট দিয়েছিলেন ১৫ হাজার ৩৯২ জন।
এ বছর জয়েন্ট পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছিলেন ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৯১৯ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ৯১ হাজার ৯৭৪ জন। মহিলা ৩২ হাজার ৯৪৪ জন। এক জন রূপান্তরকামী। পরীক্ষায় বসেছিলেন ৯৭ হাজার ৫২৪ জন। তাঁদের মধ্যে ৬৯ হাজার ৯৮১ জন এ রাজ্যের। ২৭ হাজার ৫৪৩ জন ভিন রাজ্যে। পরীক্ষায় সফল ৯৬ হাজার ৯১৩ জন। গত বছর জয়েন্ট পরীক্ষায় নাম নথিভুক্ত করেছিলেন ১ লক্ষ ১ হাজার ৪১৩।
৪টে থেকে বোর্ডের ওয়েবসাইটে মিলবে র্যাঙ্ক কার্ড। সেখানে প্রাপ্ত নম্বর, জিএমআর, পিএমআর জানতে পারবেন পড়ুয়ারা।
পড়ুয়াদের সুবিধার জন্য কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার সরলীকরণ করল বোর্ড। সে জন্য প্রকাশ করা হয়েছে পুস্তিকা। সেই পুস্তিকা পরীক্ষার্থীদের ভাল ভাবে খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিল বোর্ড। কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করবেন ছাত্র-ছাত্রীরা, তা নিয়ে আগে থেকে ভাবনাচিন্তা করার কথাও বলল।
জয়েন্ট পরীক্ষা হয়েছিল গত ৩০ এপ্রিল। ২৬ দিনের মাথায় ফল ঘোষণা করলেন জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা।