পরীক্ষার আগে বইয়ের পাতায় চোখ পরীক্ষার্থীদের। নিজস্ব চিত্র।
নির্ধারিত সময়ে শুরু হল ২০২৫-এর মাধ্যমিক পরীক্ষা। প্রথম দিন সকাল ৯ টা থেকেই বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন। পরীক্ষার্থীরা ৯ টা ৪৫ মিনিট থেকে পরীক্ষার হলে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থীদের হাতে থাকা সামগ্রী চেক করে নেন শিক্ষাকর্মীরা। এমনকি, কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকের সাহায্যও নিতে দেখা যায় কিছু পরীক্ষার্থীদের।
পরীক্ষার প্রথম দিনেই এলগিন রোডের ইউনাইটেড মিশনারি স্কুল পরিদর্শন করতে উপস্থিত হন কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ কুমার ভার্মা। তিনি জানিয়েছেন, পরীক্ষার্থীরা যেন ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষা দেয়। চিন্তার কোনও কারণ নেই, কলকাতা পুলিশ সব রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। পরীক্ষার্থীদের কোনও অসুবিধা হলে তারা নির্দ্বিধায় ট্রাফিক পুলিশ বা কলকাতা পুলিশের কাছে সাহায্য চাইতে পারে।
পুলিশের কাছে সাহায্য চাইতে দেখা গেল এক পড়ুয়াকে। নিজস্ব চিত্র।
পরীক্ষার্থীর সঙ্গে স্মার্টওয়াচ, মোবাইল, ক্যালকুলেটর বা অন্য কোনও বৈদ্যুতিন সামগ্রী সঙ্গে থাকলে পরীক্ষা বাতিল করা হবে। পাশাপাশি, কোনও শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীরাও উল্লিখিত সামগ্রী পরীক্ষা চলাকালীন সঙ্গে রাখতে পারবেন না। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই নির্দেশিকায় খুশি অভিভাবকেরা। টাকি হাউস গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড বয়েজ় হাইস্কুলের পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানিয়েছেন, পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে অঙ্গীকারপত্র, ভিতরে শপথবাক্য পাঠের পাশাপাশি, সকলের জন্য মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় তাঁরা খুশি। তবে জলের বোতল নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকায় উষ্মাপ্রকাশ করেছেন অনেকেই।
পড়ুয়াদের সঙ্গে উপস্থিত অভিভাবকরা। নিজস্ব চিত্র।
পরীক্ষা শুরু দিনেই রাস্তায় অতিরিক্ত সরকারি বাসের দেখা মিলেছে। দূর-দূরান্ত থেকেই অধিকাংশ পরীক্ষার্থীরা গণপরিবহণের সাহায্যেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্কুলে পৌঁছে গেছে। পাশাপাশি, বেসরকারি বাসেও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ভিড় দেখা গিয়েছে। রাস্তায় যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রায় প্রতিটি স্কুলের সামনেই মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ এবং ট্রাফিক গার্ডদের।
বাইক কিংবা অন্য কোনও গণপরিবহন মাধ্যমের সাহায্যে স্কুল উপস্থিত হয়েছে পরীক্ষার্থীরা। নিজস্ব চিত্র।
চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ৯,৮৪, ৮৯৪ জন। গত বছরের থেকে তা ৬২ হাজারেরও বেশি। রাজ্যের মোট ২,৬৮৩টি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা চলছে। ৪২৩ জন ‘কাস্টডিয়ান’-এর দায়িত্বে থাকবে প্রশ্নপত্র। কলকাতার ১১৮টি পরীক্ষাকেন্দ্রে ৩৭,৪০০-র বেশি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে।