ইউজিসি সংগৃহীত ছবি
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও উপাচার্যদের পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান সংক্রান্ত সমস্ত নয়া বিধি ও পদ্ধতি চালুর আর্জি জানিয়েছে।
ইউজিসি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে পিএইচডি সংক্রান্ত নয়া বিধিগুলি সৃষ্টির মূল কারণই হল আরও প্রশিক্ষিত ও অনুসন্ধিৎসু গবেষক তৈরী করা। ইউজিসি ওই চিঠিতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পিএইচডি সংক্রান্ত নয়া বিধিগুলি দ্রুত কার্যকর করারও আর্জি জানিয়েছে।
ইউজিসি ২০১৬-এর পিএইচডি-এর ন্যূনতম যোগ্যতামান ও পদ্ধতি সংক্রান্ত বিধি পরিবর্তন করে এই বছর নতুন বিধি তৈরি করেছে। সংশোধিত নির্দেশিকায় পিএইচডি-এর যোগ্যতা, ভর্তি ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন নির্দেশিকায় ‘রেফার্ড জার্নাল’ বা তালিকাভুক্ত নির্দিষ্ট জার্নালে গবেষণা সংক্রান্ত রচনা প্রকাশের আবশ্যিকতাকেও বাদ দেওয়া হয়েছে।
গত ৭ নভেম্বর ইউজিসি এই নতুন বিধির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। নয়া বিধি অনুযায়ী, শিক্ষার্থীরা চার বছরের স্নাতক ডিগ্রি পাশ করে সরাসরি পিএইচডি কোর্সে ভর্তি হতে পারবে। এ ছাড়া, তাঁদের ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নম্বর বা সমতুল গ্রেড থাকতে হবে। যাঁদের এই নম্বর থাকবে না, তাঁদের এক বছরের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি করতে হবে এবং সেখানে ৫৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
ইউজিসি-র ২০১৬-এর পিএইচডি বিধিতে পিএইচডি গবেষকদের গবেষণাপত্র/থিসিস জমা দেওয়ার আগে অন্তত একটি গবেষণাভিত্তিক রচনা 'রেফার্ড জার্নাল'-এ প্রকাশ এবং দুটি গবেষণাভিত্তিক রচনা কোনও কনফারেন্স বা সেমিনারে উপস্থাপন করতে হতো।
ইউজিসি সভাপতি জগদীশ কুমার জানান যে এখন থেকে গবেষণাভিত্তিক রচনা 'রেফার্ড জার্নাল'-এ প্রকাশের আর বাধ্যবাধকতা থাকবে না, তবে তার মানে এ-ও নয়, তা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারবেন গবেষকরা।
তাঁর মতে, গবেষণাভিত্তিক রচনা 'রেফার্ড জার্নাল'-এ প্রকাশের আর বাধ্যবাধকতা না থাকলে গবেষকরা এমনিতেই তাঁদের গবেষণাকে আরও উন্নত করে কোনও নামী জার্নালে প্রকাশ করতে পারবেন। এই উন্নতমানের গবেষণাভিত্তিক রচনাগুলি তাঁদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বা পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রিতে ভর্তির ক্ষেত্রেও লাভজনক হবে।
তবে যাঁরা ১ জুলাই, ২০০৯-এ পিএইচডি-তে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে পিএইচডি-এর ২০০৯ বা ২০১৬-এর বিধিগুলিই কার্যকর হবে।