যাদবপুর বিদ্যাপীঠের বাউন্ডারি ওয়ালে পশু পাখিদের ছবি। নিজস্ব চিত্র।
শিশুমনে পশুপ্রেম বৃদ্ধি করতে উদ্যোগী হল যাদবপুর বিদ্যাপীঠ। ইতিমধ্যেই স্কুলের ক্লাসরুমের দেওয়ালে চিত্র আকারে বাংলার মনীষীদের নানান তথ্য এবং উপন্যাসের গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এ বার স্কুলের বাউন্ডারি ওয়ালে প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের সহযোগিতায় বিভিন্ন পশু-পাখিদের ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এতে জীবজন্তু সম্বন্ধে যে রকম ছাত্রছাত্রীরা জানতে পারবে, পাশাপাশি পশুপ্রেম বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে উচ্চ প্রাথমিকে অর্থাৎ পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৭৫০ । বর্তমানে স্কুলের সমস্ত ছাত্র সংখ্যা ১৭০০ মতো। প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “জঙ্গলের জীবজন্তু ছোটদের খুব আকর্ষণ করে থাকে। ছবিগুলি এমন ভাবে আঁকা হচ্ছে যা শিশুদের সহজেই আকর্ষণ করবে। ছোট থেকে পশুপ্রেম বৃদ্ধি পেলে পরবর্তীকালে বড় হয়ে এরাই বন্যপ্রাণ বাঁচানোর ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করবেন বলে আশাবাদী আমরা”
বন্ধুত্বপূর্ণ আবহাওয়াতে জঙ্গলে পশুরা নিজস্ব চিত্র।
বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় ভাল স্কুল মানে শুধু শিক্ষক এবং ভাল ছাত্রছাত্রী নয়। পড়াশোনার মান উন্নয়নের পাশাপাশি প্রয়োজন সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলা। শিক্ষার্থীদের মনোগ্রাহী জগৎ গড়ে মডেল স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ সরকারি ও সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলগুলির কাছে। স্কুলের পরিবেশ যত সুন্দর হবে পড়ুয়াদের স্কুলের প্রতি আগ্রহ বাড়বে এবং স্কুলছুটের সংখ্যা কমবে বলে মনে করছেন স্কুল কর্তৃপক্ষের একটি বড় অংশ।
ব্যাগ কাঁধে স্কুলের পথে জঙ্গলের রাজা নিজস্ব চিত্র।
সারা স্কুলের দেওয়াল ঘিরে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ রকম জীবজন্তু ও পাখিদের ছবি আঁকা হয়েছে। ছবিগুলো এমন ভাবে আঁকা হচ্ছে যাতে মনে হবে জীবজন্তুরাও বাস্তবে পরিবেশের একটি অংশ। কখনও সিংহকে দেখা যাবে ব্যাগ হাতে আবার জিয়াফকে দেখা যাবে পেন্সিল হাতে নিয়ে যা শিশু মনকে বিশেষ ভাবে আকর্ষণ করবে। মূলত উচ্চ প্রাথমিকের পড়ুয়াদের জন্য এই ধরনের উদ্যোগ। ভাল পড়াশোনার পাশাপাশি তাঁরা যাতে প্রকৃতিপ্রেমী হয়ে উঠতে পারে সেটাও লক্ষ্য স্কুলের।