সংগৃহীত চিত্র।
রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনার জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা (সেট)-এ জালিয়াতি রুখতে প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর জোর ওয়েস্ট বেঙ্গল কলেজ সার্ভিস কমিশনের। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ডে থাকছে কিউআর কোড। যা স্ক্যান করলেই সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানাচ্ছে কমিশন।
কমিশনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, “এ বছর প্রথম এই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। ভুয়ো অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে যাতে কোনও পরীক্ষার্থী পরীক্ষা হলে প্রবেশ না করতে পারেন, তার জন্য এই সিদ্ধান্ত। প্রত্যেকটি অ্যাডমিট কার্ডে থাকছে কিউআর কোড। যাতে প্রার্থীর ছবি-সহ বিস্তারিত তথ্য থাকবে। ভুয়ো প্রার্থীকে দ্রুত চিহ্নিত করার জন্যই এই উদ্যোগ।”
এই কিউআর কোড-এর মধ্যে প্রার্থীর ছবি, নাম, অভিভাবকদের নাম, জন্মতারিখ, রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বার, পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম, কোন বিষয় পরীক্ষা দিচ্ছেন তার বিস্তারিত তথ্য-সহ প্রার্থীর স্বাক্ষর থাকবে।
যদিও কলেজ সার্ভিস কমিশনের দাবি, ভুয়ো অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগ এখনও পর্যন্ত তাদের কাছে আসেনি। তবে, পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যে ভাবে জালিয়াতিচক্র বৃদ্ধি পেয়েছে, তা রোধে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু কিউআর কোড নয়, প্রশ্নের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে।
১৫ ডিসেম্বর সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে। ২৬তম সেট পরীক্ষায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬০ হাজার মতো। ৯০টি পরীক্ষা কেন্দ্রে হবে পরীক্ষা। বিষয় ৩৩টি।
সকাল ১১টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত দু’টি পেপার ভাগ করে দুই সেশনে পরীক্ষা হবে। প্রথম সেশন এক ঘণ্টা এবং দ্বিতীয় সেশনের পরীক্ষা সম্পন্ন হবে দু’ঘণ্টার মধ্যে। প্রথম পেপারে ১০০ এবং দ্বিতীয় পেপারের পূর্ণমান ২০০।