Government College of Art & Craft Event 2025

শিল্পের উৎকর্ষ বৃদ্ধিই লক্ষ্য, ১৬০ বছর উদ্‌যাপনে অঙ্গীকার গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজের

কলকাতার গভর্নমেন্ট কলেজ অফ আর্ট অ্যান্ড ক্রাফট সম্প্রতি কলেজের ১৬০ বছরের প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষে পড়ুয়াদের জন্য প্রদর্শনী— ‘পরম্পরা’-র আয়োজন করা হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৫ ১৮:৪১
Share:

উপস্থিত খ্যাতনামীরা। নিজস্ব চিত্র।

শৈল্পিক উৎকর্ষ এবং সেই বিষয়ক শিক্ষাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে কলকাতার গভর্নমেন্ট কলেজ অফ আর্ট অ্যান্ড ক্রাফট। সম্প্রতি এ বছর কলেজের ১৬০ বছরের প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষে পড়ুয়াদের জন্য প্রদর্শনী— ‘পরম্পরা’-র আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু খ্যাতনামী।

Advertisement

১৮৬৪ সালে পথ চলা শুরু। তার পর ফিরে তাকাতে হয়নি। শিল্পানুরাগী পড়ুয়াদের প্রতিভার বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে রাজ্যের এই কলেজ। ছবি থেকে ভাস্কর্য — সবক্ষেত্রেই ব্যতিক্রমী। এ ভাবেই বছরের পর বছর শিল্পকলায় এক আলাদা ঐতিহ্য গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে গভর্নমেন্ট কলেজ অফ আর্ট অ্যান্ড ক্রাফট। এর জন্য প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া থেকে শিক্ষক— প্রত্যেকের অবদানই অনস্বীকার্য।

গত ২৮ মার্চ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাখি সরকার, মুনমুন সেন, নিরঞ্জন প্রধান, নিমাইচন্দ্র সাহার মতো খ্যাতনামীরা। বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারেননি।

Advertisement

প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্টতা ক্লাসরুমের চার দেওয়ালেই শুধু আবদ্ধ নয়, যুগান্তকারী শিল্পসৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্বের শিল্পমানচিত্রেও জায়গা করে নিয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। কলেজের শিক্ষাব্যবস্থাতেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে গত কয়েক বছরে। ‘চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম’ (সিবিসিএস) মেনে ২০২৮-’২৯ সাল থেকে স্নাতক স্তরের কোর্সগুলির বার্ষিক ব্যবস্থার পরিবর্তে সিমেস্টার পদ্ধতি চালু করা হয়। আবার জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে ‘কারিকুলাম অ্যান্ড ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক’ চালু করা হয় ২০২৩-’২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে। মাস্টার অফ ফাইন আর্টস অর্থাৎ স্নাতকোত্তরের কোর্সের ক্ষেত্রেও ওই শিক্ষাবর্ষ থেকে সিবিসিএস ব্যবস্থা চালু হয়। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট কোর্সে ‘ম্যুরাল আর্ট’ বিষয়টিও যোগ করা হয়েছে। এর ফলে গত বছরগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যাও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এত বছরে শুধুই যে সাফল্যের মুখ দেখেছে কলেজ তা নয়, কিছু বাধারও সম্মুখীন হতে হয়েছে। এর মধ্যে কলেজ ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন)-র স্বীকৃতি হারায়। গত ২০২৪ সালের মার্চ মাসে বহু প্রচেষ্টার পর যা আবার ফিরে পায় কলেজটি। ভবিষ্যতেও এই ধারা বজায় রেখে শিল্পকলায় নয়া দিগন্ত উন্মোচন করতে চায় রাজ্যের এই প্রতিষ্ঠান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement