খুশির খবর ভাগ করে নেওয়া সকলের সঙ্গে। নিজস্ব চিত্র।
শুক্রবার পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাংবাদিক বৈঠকে মাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী হিসাবে নাম ঘোষণা হয়েছিল বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল স্কুলের ছাত্র শুভম পালের। খবর ছড়িয়ে পড়তেই পূর্ব বর্ধমান বিবেকানন্দ কলেজ রোডের বাড়িতে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। পৌছে গিয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইনও। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত শুভম প্রথমে জানাল, ভাল ফলের প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু এতটা ভাল আশা করেনি সে।
যখন প্রতিনিধি জানতে চাইলেন, কী হতে চায় শুভম? সে জানাল, চিকিৎসক হয়ে জনসেবা করাই তার লক্ষ্য। এই সঙ্গে সে এ-ও জানায় যে, পরীক্ষার প্রস্তুতির বিষয়ে কখনও দিনরাত পড়ার ব্যাপারে সে জোর দেয়নি। সে আরও জানায়, প্রতিটি বিষয়ে এক জন করে শিক্ষক, স্কুলের শিক্ষক এবং বাবা মায়ের পরিশ্রমের অবদান রয়েছে তার এই সাফল্যের নেপথ্যে। মাধ্যমিকের জন্য সকাল-বিকেল মিলিয়ে ৬-৭ ঘন্টা পাঠ্যবই ভাল করে পড়লেই সাফল্য পেতে পারে যে কোনও পরীক্ষার্থী।
মাধ্যমিকে ৬৯৫ পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা শুভম তার মায়ের কাছেই বাংলা পড়ে নিত। তার মা স্বপ্না ভাওয়াল রায়নার পাইটা স্কুলের শিক্ষিকা। বাবা সমীর পাল বেসরকারি সংস্থার কর্মী। ছেলের সাফল্যে যারপরনাই খুশি তাঁরা।
একই সঙ্গে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে মালদহ রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের রিফত হাসান সরকার। তারও প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৫। আনন্দবাজার অনলাইনকে সে জানিয়েছে, প্রতি বছর তাদের স্কুল থেকে ছেলেরা মাধ্যমিকে প্রথম দশে জায়গা করে নেয়।
স্কুলের নাম উজ্জ্বল করে খুশি রিফাত। পাশাপাশি সে তার বাবার কথাও জানায়, তিনি নিজেও একজন শিক্ষক। সব মিলিয়ে জেলার মধ্যে থেকে এত বড় সাফল্যের আনন্দ রিফাত ভাগ করে নিতে চায় সকলের সঙ্গে। এই সাফল্যের পিছনে অধ্যবসায়েরই ভূমিকা মুখ্য, এমনটাই মত তার।