সংগৃহীত চিত্র।
দুর্যোগের ভ্রুকুটি মাথায় নিয়ে দুর্গাপুজো মিটতেই তৃতীয় এবং চতুর্থ দফার কাউন্সেলিং স্কুল সার্ভিস কমিশনের। ২৪ ও ২৫ তারিখ হিন্দি ও আরবি বিভাগের কাউন্সেলিং। বৃহস্পতিবার ডাকা হয়েছে হিন্দি এবং উর্দু বিভাগের ৮০ জনকে। এরমধ্যে হিন্দি বিভাগে ছিল ৭০ জন। আর উর্দু বিভাগে ছিল ১০। তাঁদের মধ্যে স্কুল বাছাইয়ের পর নিয়োগপত্র হাতে নিয়েছেন হিন্দি বিভাগে ৭০ জনের মধ্যে ৪৫ জন। এবং উর্দু বিভাগে ১০ জনের মধ্যে ৫ জন। অর্থাৎ 80 জনের মধ্যে তৃতীয় দিনের নিয়োগপত্র নিল ৫০ জন।
বুধবারই উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগের দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিংয়ের দিন ঘোষণা করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। দ্বিতীয় দফায় ডাকা হবে ৮,০৯১ জনকে। আগামী ১১ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মাঝে মঙ্গল-বুধ বাদ দিয়ে প্রত্যেক দিন কাউন্সেলিং চলবে। ১২ ও ১৩ নভেম্বর ওই দু’দিন বন্ধ থাকছে এই প্রক্রিয়া। ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং। দুর্গাপুজোর আগে দু’টি দফায় এই প্রক্রিয়া চালিয়েছে এসএসসি। সেখানে নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন ১৮৬ জন। প্রথম দু’দফায় ডাকা হয়েছিল ২৫৪ জনকে। প্রথম দফা মিলিয়ে নিয়োগপত্র নেননি ৬৮ জন।
প্রথম পর্যায়ে ছয় দফা কাউন্সেলিংয়ে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে মোট ৬৫৮ জনের। পুজোর পরে ২৪, ২৫, ২৮, ২৯ অক্টোবর বাদবাকি প্রার্থীদের কাউন্সেলিং হবে বলে আগেই জানিয়েছিল এসএসসি। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে যে প্রক্রিয়া শুরু হবে, সেখানে ডাকা হয়েছে ৮০৯১ জনকে। অর্থাৎ দু’বারে এ পর্যন্ত মোট ৮,৭৪৯ জনকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডাকা হচ্ছে।
গত ২৮ অগস্ট হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে ২৫ সেপ্টেম্বর ফের মেধা তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ১৪,০৫২ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে জাতিগত ও শিক্ষাগত তথ্যে গরমিলের কারণে ৯৬ জন প্রার্থীর নাম বাদ দেয় এসএসসি। সম্পূর্ণ নিয়োগ কবে হবে, সেটাই এখন প্রশ্ন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের।