স্বাধীনতা দিবস উদযাপন নিয়ে উৎসাহী পড়ুয়ারা। স্কুলের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত ছবি।
স্বাধীনতা দিবস পালন মানে নিখাদ ছুটি নয়। বরং ইতিহাসের স্পর্ধার সঙ্গে ভবিষ্যতের সম্ভাবনার এক মেলবন্ধনের দিন। এই দিনটিকে স্মরণীয় করে তুলতে তাই দমদমের আদিত্য অ্যাকাডেমি সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুল এবং আদিত্য অ্যাকাডেমি জুনিয়রের পড়ুয়ারা কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে নিজেরাই বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।
আমার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলতে পারি, এই দিনটিকে ঘিরে চলতে থাকা প্রস্তুতিই পড়ুয়াদের ‘স্বনির্ভর’ করে তোলে। প্রতি বছর এই বিশেষ দিনটি উপলক্ষে দেশাত্মবোধক গান কিংবা আবৃত্তি, পাঠ, অথবা অভিনয়শৈলীর মাধ্যমে দেশমাতৃকাকে স্মরণ করে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে পড়ুয়াদের উৎসাহ চোখে পড়ার মত। এতে তারা যেমন ইতিহাসের প্রতিটি পর্যায় সম্পর্কে জানতে পারে, তেমনই সাম্প্রতিক ঘটনা সম্পর্কেও যথেষ্ট সচেতন হয়ে ওঠে। তাই এই ‘স্বনির্ভরতা’র কথা মাথায় রেখেই স্কুলের পড়ুয়াদের স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনে সামিল হওয়ার আর্জি জানানো হয়।
তবে, শুধু অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপনই নয়। মহাকাশ বিজ্ঞান, শিল্পক্ষেত্র, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেশের সার্বিক উন্নতির কথাও পড়ুয়াদের লেখনী কিংবা বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনীর মাধ্যমে ফুটে ওঠে।
এ ছাড়াও নিয়মমাফিক দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন, দেশাত্মবোধক গানের সুরে সুর মিলিয়ে সকলে একসঙ্গে গেয়ে ওঠা— সবটাই আবেগে আপ্লুত করে তোলে। এ ছাড়াও প্রতি বছর অভিনব কিছু বিষয় নিয়ে ‘প্যানেল ডিসকাশন’-এর আয়োজন করা হয়ে থাকে। এ বছর ‘ফিউচার স্কিলস, নেভিগেটিং মর্ডান কেরিয়ার অপশনস’ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে স্কুলে স্তরে পড়ুয়ারা কতটা সচেতন, কতটা স্বাধীন ভাবে এই সমস্ত বিষয়গুলি নিয়ে তারা ভাবনাচিন্তা করতে পারছে— এই সমস্ত বিষয়ই এই আলোচনায় প্রতিফলিত হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষানীতিকে মান্যতা দিয়েই সুস্থায়ী পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, স্মার্টসিটি তৈরির কৌশল সম্পর্কিত বিষয়গুলিও বিশেষ প্রদর্শনীর মাধ্যমে পড়ুয়ারা দেখানোর ব্যবস্থা করেন। এর জন্য কৃত্রিম মেধার সাহায্যও নিয়ে থাকে তারা। তবে শুধু পড়ুয়াই নয়, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তাদের অভিভাবক এবং স্থানীয় বাসিন্দারাও স্কুল চত্বরে উপস্থিত থেকে দিনটিকে আরও বেশি সফল করে তোলেন। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের উপস্থিতি দেশের সার্বভৌমত্ব এবং সম্প্রীতির বার্তা বহন করে থাকে, যা স্কুলের জন্যও ভীষণ গর্বের একটি বিষয়।