প্রতীকী ছবি।
অত্যধিক গরমের জন্য রাজ্যের প্রাইমারি স্কুলগুলিতে দুপরের পরিবর্তে সকাল ক্লাস করানো হোক। এমনই আর্জি জানিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে। দ্রুত এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারি করার আবেদন জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ৩০ এপ্রিল থেকে গরমের ছুটি পড়ছে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘‘অতিরিক্ত গরমের কারণে বেশ কিছু জেলা বেলায় নয় সকালে ক্লাস করাতে চাইছে। আমরা সরকারের কাছে জানতে চেয়েছি কী করা উচিত। সরকার জানালে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’’
রাজ্য জুড়ে একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ডে-সেশনে চলে। তার মধ্যে রাজ্যের ন’টি জেলায় দুপুরের দিকে তাপপ্রবাহ চলে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, ও দক্ষিণ ২৪পরগনা— এই জেলাগুলি রয়েছে। এই ন’টি জেলায় ‘ডে সেশন’-এর পরিবর্তে ‘মর্নিং সেশন’-এ ক্লাস করানোর আর্জি জানানো হয়েছিল পর্ষদের কাছে। সেই মতো পর্ষদের তরফেও শিক্ষা দফতরকে চিঠি দিয়ে নির্দেশিকা জারি করার আবেদন জানানো হয়েছে, যাতে এই জেলার স্কুলগুলিতে সকালে ক্লাস করানো হয়।
উল্লেখ্য, অত্যধিক গরমের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয় ‘ডে-সেশন’-এর স্কুলগুলিতে কি পঠনপাঠনের সময়সূচি সকালের দিকে এগিয়ে আনা প্রয়োজন? এ বিষয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আগেই চিঠি দিয়ে তাঁদের মতামত জানতে চেয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। দ্রুত এই সংক্রান্ত রিপোর্টও চাওয়া হয়েছিল। আর তাতেই দেখা গিয়েছে, উক্ত ন’টি জেলায় সকালে স্কুল হওয়া দরকার। তার পরেই রিপোর্ট অনুযায়ী বৃহস্পতিবার শিক্ষা দফতরকে চিঠি দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।