Online Meeting at CU

পুরোনো সমস্যার সমাধান প্রয়োজন, বৈঠকে হাজিরায় রাজি অধ্যক্ষেরা

ডিজিলকার ব্যবহারের বিরোধিতা না করলেও পূর্বতন একাধিক দাবির সমাধান না হলে নয়া সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার বিরোধিতা করবেন অধ্যক্ষেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৫ ১৪:১০
Share:
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। নিজস্ব চিত্র।

পড়ুয়াদের তথ্য সংরক্ষিত রাখতে ডিজিলকার ব্যবহারে জোড় দিতে চাইছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ সব কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করতে চলেছেন রেজিস্ট্রার-সহ অন্য আধিকারিকেরা। যেখানে পড়ুয়াদের জন্য অ্যাকাডেমিক ব্যাঙ্ক অফ ক্রেডিট (এবিসি) আইডি তৈরি করা, ডিজিলকার ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা হবে।

Advertisement

ডিজিলকার ব্যবহারের বিরোধিতা না করলেও পূর্বতন একাধিক দাবির সমাধান না হলে নয়া সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার বিরোধিতা করবেন অধ্যক্ষেরা। সারা বাংলা অধ্যক্ষ পরিষদ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (এবিপিসিসিউ) কমিটির সম্পাদক মানস কবি বলেন, ‘‘আমরা এই নয়া পদ্ধতি চালুর বিরোধিতা করছি না। কিন্তু, অনলাইনে নয় সশরীরে মিটিং ডাকতে হবে। আগে থেকেই অনেক দাবি পূরণ হয়নি, সেগুলি আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কলেজগুলির উপর চাপিয়ে দিলে হবে না।’’

এই মর্মে অধ্যক্ষদের সংগঠনের তরফ থেকে বৈঠকের আগেই চিঠি দেওয়া হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে। চিঠিতে উল্লেখ থাকছে একাধিক দাবি। যেমন, পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচনের ক্ষেত্রেও অনেক বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে। বিশ্ববিদ্যালয় নিজের ইচ্ছের মতো বিভিন্ন খরচ চাপিয়ে দিচ্ছে কলেজগুলির উপর। এগুলি ছাড়াও আরও একাধিক দাবি রয়েছে। সেই সব পূরণ করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। না হলে নতুন প্রকল্প নয়, এমনই দাবি অধ্যক্ষদের। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, অধ্যক্ষদের সঙ্গে আলোচনা না করেই পিএম (প্রধানমন্ত্রী) ইন্টার্নশিপ স্কিম-এ কলেজগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাতে ছোট ও মাঝারি কলেজগুলি যথেষ্ট সমস্যায় পড়ছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্নাতকত্তোর স্তরে পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কোনও কাজই করতে পারবেন না স্টেট এডেড কলেজ টিচার (সিএসআর) বা চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকেরা। এর পরই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট থেকে চার জন অধ্যক্ষ পদত্যাগ করেন। তাঁদের অভিযোগ, বেশির ভাগ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ হচ্ছে না। কাজ চলছে অতিথি শিক্ষক এবং রাজ্য সরকারি সাহায়তাপুষ্ট কলেজ শিক্ষক দিয়ে, সেখানে এমন বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া কী ভাবে হল! পাশাপাশি, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেটের কোনও অধ্যক্ষের সঙ্গেই কথা বলেননি বলেও অভিযোগ। যদিও এই সংক্রান্ত ‘সিএসআর’ সংশোধন করতে চলেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই নিয়মের সংশোধন না হওয়ায় বিরোধিতায় অধ্যক্ষেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement