প্রতীকী চিত্র।
পরের বছরের মধ্যেই দেশের সমস্ত চিকিৎসকের নিজস্ব ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (ইউআইডি) থাকার ব্যবস্থা করা হবে। সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, দেশের সব কর্মরত চিকিৎসকের নাম কেন্দ্রীয় ভাবে নথিবদ্ধ করার কাজ শুরু করেছে জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)। মঙ্গলবার কমিশনের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
এনএমসি-র এথিক্স অ্যান্ড মেডিক্যাল রেজিস্ট্রেশন বোর্ডের সদস্য চিকিৎসক যোগেন্দ্র মালিক সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের এই নাম নথিবদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার জন্য একটি ন্যাশনাল মেডিক্যাল রেজিস্টার (এনএমআর) তৈরি করছে এনএমসি। যা আগামী ছ’মাসের মধ্যেই পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করা হবে। অনুমান করা হচ্ছে, এর পর ২০২৪ সাল শেষ হওয়ার আগেই এটি সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত হয়ে যাবে।
এই এনএমআর ব্যবস্থা সক্রিয় হলে সেটি বর্তমানের ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল রেজিস্টার (আইএমআর)-এর পরিবর্তে ব্যবহার করা হবে। জনসাধারণের সুবিধার্থে রেজিস্টারটি জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাবে।
নতুন এই রেজিস্টারে দেশের চিকিৎসকদের ইউআইডি থেকে শুরু করে রেজিস্ট্রেশন নম্বর, নাম, কর্মস্থান, দেশের কোন প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁদের পড়াশোনা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিশেষায়ন-সহ বিভিন্ন তথ্য দেওয়া থাকবে।
চিকিৎসক মালিক সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের এই ‘ওয়ান নেশন ওয়ান রেজিস্ট্রেশন প্ল্যাটফর্ম’-এর মাধ্যমে জালিয়াতি এবং নানা রকম জটিলতা দূর করা সম্ভব হবে। তবে তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের যে ১৪ লক্ষ চিকিৎসকের তথ্য ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল রেজিস্টারে রয়েছে, তাঁদের পুনরায় আর এনএমআর-এ নাম নথিভুক্ত করতে হবে না। তাঁদের সমস্ত তথ্য আইএমআর থেকে এনএমআর-এ স্থানান্তরণ করা হবে।
মালিক জানিয়েছেন, নতুনদের ক্ষেত্রে এনএমসি-র এথিক্স অ্যান্ড মেডিক্যাল রেজিস্ট্রেশন বোর্ড ইউআইডি তৈরি করবে। এনএমআর-এ রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলেই চিকিৎসকরা বিভিন্ন রাজ্যে প্র্যাকটিস করার সুযোগ পাবেন।
এনএমআর-এ রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রথমে চিকিৎসাবিজ্ঞানের স্নাতক স্তরে পাঠরতদের একটি মাস্কড বা ছদ্ম ইউআইডি দেওয়া হবে। এমবিবিএস শেষ হলে সেটি ‘আনমাস্ক’ করে তাঁদের জন্য বরাদ্দ করা হবে। এর পর সারা জীবনের জন্য এই ইউআইডি-র বৈধতা থাকবে। চিকিৎসকরা পোর্টালে গিয়ে প্রয়োজনে পরে তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা আপডেটও করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসেই ‘রেজিস্ট্রেশন অফ মেডিক্যাল প্র্যাক্টিশনার্স অ্যান্ড লাইসেন্স টু প্র্যাকটিস মেডিসিন রেগুলেশনস, ২০২৩’ -এ এই বিষয় সম্পর্কে জানিয়েছিল জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন।