প্রতীকী চিত্র।
চলতি বছরে সর্বভারতীয় স্তরের মেডিক্যালের স্নাতকে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষার (নিট ইউজি)-র সংশোধিত ফল এবং মেধাতালিকা ঘোষণা করা হয়েছিল গত ২৬ জুলাই। এর পর ২৯ জুলাই মেডিক্যাল কাউন্সেলিং কমিটি (এমসিসি)-র তরফে নিট ইউজি কাউন্সেলিংয়ের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। কাউন্সেলিংয়ের সূচি অনুযায়ী প্রথম রাউন্ডের পর দ্বিতীয় রাউন্ডের রেজিস্ট্রেশনও শুরু হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যেই দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য বেশ কিছু সংখ্যক আসন যোগ করল এমসিসি। এর ফলে দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের এমবিবিএস, বিডিএস এবং অন্যান্য স্নাতক স্তরের কোর্সে ভর্তির সুযোগ বৃদ্ধি পেল।
এমসিসি-র তরফে সদ্য প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মোট ৬১৪টি আসন যোগ করা হয়েছে দ্বিতীয় রাউন্ডের কাউন্সেলিংয়ের জন্য। এ ছাড়া, ভার্চুয়াল ‘ভ্যাকেন্সি’-র জন্য মোট ৬,৯৪৭টি আসন নতুন করে যোগ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরা, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু, ওড়িশা, মণিপুর, বিহার, অসম-সহ অন্যান্য রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য আসনসংখ্যার পরিমাণ বাড়াল এমসিসি। পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘ভার্চুয়াল ভ্যাকেন্সি’-র পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে, সেগুলি হল — এমস কল্যাণী, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ, বারাসাত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতাল কল্যাণী, দেবেন মহতা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, ডায়মন্ড হারবার সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, নিউটাউন, আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল, ইএসআইসি পিজিআইএমএসআর, জোকা, জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল-সহ অন্যান্য।
দ্বিতীয় রাউন্ডের কাউন্সেলিংয়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন এবং ‘চয়েস ফিলিং’ প্রক্রিয়া গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। যা চলবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয় রাউন্ডের ‘সিট অ্যালটমেন্ট’ বা আসন বরাদ্দের ফল ঘোষণা করা হবে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর। এর পর ১৪ থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পড়ুয়াদের ওই কলেজগুলিতে ভর্তির জন্য রিপোর্ট করতে হবে।
উল্লেখ্য, কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন রাজ্যের মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সর্বভারতীয় কোটার ১৫ শতাংশ আসনে ভর্তির সুযোগ পাবেন পড়ুয়ারা। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এবং কেন্দ্র অধীনস্থ মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ১০০ শতাংশ আসনে পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া হবে।