প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীনই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কাজ কোনও সরকারি ছুটির দিনে করতে হলে, কর্মরত আধিকারিকরা অতিরিক্ত লিভ পাবেন। সে ক্ষেত্রে অন্য যে কোনও দিন ওই কর্মীরা ছুটি নিতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধান পরীক্ষক ২৩ দিন, থিয়োরি পেপারের পরীক্ষক ৬ দিন, থিয়োরি পেপারের নিরীক্ষক ১২ দিনের সর্বাধিক ছুটি নিতে পারবেন। এ ছাড়াও কাউন্সিল নমিনি-সহ অন্যান্য বিভাগে কর্তব্যরত কর্মীরাও ১০ থেকে ১৪ দিনের ছুটি নেওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে, এই ছুটিগুলি শুধু মাত্র উচ্চ মাধ্যমিকের কর্তব্যরত আধিকারিকরা পাবেন।
এই বিষয়ে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আগেও প্রধান পরীক্ষকরা ছুটির দিনে পরীক্ষার কাজ করার পরিবর্তে অন্য কোনও দিন ছুটি নিতে পারতেন। চলতি বছরে সেই ছুটির সংখ্যা ১৮ থেকে বেড়ে ২৩ হয়েছে। পাশাপাশি, খাতা দেখার পর অনলাইনে পরীক্ষার ফল আপলোড করার জন্যও আরও কিছুটা সময় দেওয়া হয়েছে, যাতে পরীক্ষকরা সময় নিয়ে কাজটি সম্পূর্ণ করতে পারেন। তবে, আগে পরীক্ষক বা নিরীক্ষকরা এই ধরনের ছুটি পেতেন না। চলতি বছরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রধান পরীক্ষকদের পাশাপাশি, অন্যান্য বিভাগের কর্তব্যরত আধিকারিকরাও অন্য দিনে ছুটির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে শিক্ষামহল এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেছেন, "উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।" তিনি আরও বলেন, "এই উদার মনোভাব মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে দেখানো হলে বিপুল সংখ্যক পরীক্ষক, নিরীক্ষক-সহ অন্যান্য কর্তব্যরত আধিকারিকদের অনেক সুবিধা হত।"
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহমত প্রকাশে করেছেন মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার। তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘ সময় ধরে মাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও খাতা নেওয়া বা জমা দেওয়ার দিন বা পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য কাজ ছুটির দিনে করতে হচ্ছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।