প্রতীকী ছবি
যদি নিজেকে চিকিৎসক পেশাটির সঙ্গে যুক্ত করতে চান, তা হলে শুরু থেকেই ওয়াকিবহাল হওয়া প্রয়োজন। সারাদিন টানা পড়াশোনা করলেও কিছু খুঁটিনাটি তথ্য না জানা থাকলে ভবিষ্যতে এই পেশায় যুক্ত হওয়ার ব্যাপারে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে জন্যই এই প্রতিবেদনে চিকিৎসক পেশায় যুক্ত হওয়ার প্রথম একটি ধাপ নিট পিজি-র বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হল।
নিট পিজি কী?
ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি এন্ট্রাস টেস্ট (নিট) একটি সর্বভারতীয় প্রাক্ মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা (এআইপিএমটি)। ভারতের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ডক্টর অব মেডিসিন (এমডি), মাস্টার অব সার্জারি (এমএস) এবং যাঁরা ডিপ্লোমা করতে চান, তাঁদের এই প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে হয়। ২০২৩-এর নিট পিজি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়ছে ন্যাশনাল বোর্ড অব এগজামিনেশনের তরফ থেকে। এবং কাউন্সেলিং ও আসন বরাদ্দ করা হয় ডিরেক্টর জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস)-এর তরফ থেকে।
যোগ্যাতা নির্ধারণ:
পরীক্ষার গঠন
সম্পূর্ণ কম্পিউটারের মাধ্যমে পরীক্ষাটি নেওয়া হয়। ২০০ টি এমসিকিউ প্রশ্ন থাকে। সম্পূর্ণ পরীক্ষা ইংরেজি ভাষায় নেওয়া হয়। ভারতের ১৬২টি পরীক্ষাকেন্দ্রে নিট পিজি প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রতি প্রশ্ন অনুয়ায়ী সঠিক উত্তরে +৪ নম্বর এবং ভুল উত্তরে -১ নম্বর ধার্য করা হয়ে থাকে। সম্পূর্ণ পরীক্ষার সময়সীমা তিন ঘন্টা পাঁচ মিনিট।
সিলেবাস:
অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, বায়ো-কেমেস্ট্রি, প্যাথোলজি, ফার্মাকোলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ফরেন্সিক মেডিসিন, সোশ্যাল অ্যান্ড প্রিভেন্টিং মেডিসিন, জেনারেল মেডিসিন, জেনারেল সার্জারি, অবস্ট্র্যাক্টিভ এবং গায়নোকোলজি, পেডিয়াট্রিক্স, ডার্মাটোলজি, রেডিওলজি-সহ আরও যে সকল বিষয়গুলি সাধারণত মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার অন্তর্ভুক্ত মেডিক্যাল এডুকেশন রেগুলেশন নির্ধারিত, সেই বিষয়গুলি সিলেবাসে রয়েছে।
নিট পিজি প্রবেশিকার ফি কত?
কাট-অফ এবং ফলাফল:
জাতির উপর ভিত্তি করে মূলত চারটি ভাগে ফলাফল নির্বাচন করা হয় থাকে। ২০২০ সালের ফলাফল ঘোষণা অনুয়ায়ী, জেনারেলের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ, জেনারেল পিডবলুউডি প্রার্থীদের জন্য ২৫ শতাংশ, এবং এসটি, এসসি, ওবিসি, পিডবলুউডি প্রার্থীদের জন্য ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল। এই সম্পূর্ণ কাট অফ-এর পরিমাণ (শতাংশে) পরিবর্তিত হতে পারে প্রতি বছরের পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে।
আসন বরাদ্দ:
ডিপ্লোমা, এমডি, এমএস-এর সম্পূর্ণ পরীক্ষাই দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। ৫০ শতাংশ কোটা কেন্দ্রীয় সরকারের অন্তর্ভুক্ত মেডিক্যাল কলেজগুলির জন্য এবং বাকি রাজ্য সরকার অন্তর্ভুক্ত মেডিক্যাল কলেজগুলির জন্য বরাদ্দ করা হয়ে থাকে। প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করার পর প্রার্থীদের নম্বরের উপর ভিত্তি করে কাউন্সেলিং হয়। ১৫, ৭.৫, ৫ এবং ২৭ শতাংশ আসন এসসি, এসটি, পিডবলুউডি এবং ওবিসি প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। এ ছাড়াও, অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল প্রার্থীদের জন্যও ১০ শতাংশ আসন বরাদ্দ থাকে।
কোন কোন প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পাওয়া যায়:
ভারতে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ১১৪টি মেডিক্যাল কলেজ ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে নিট পিজি পাশ করার পর ভর্তি হওয়া যায়। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম নীচে দেওয়া হল:
নিট প্রবেশিকা পাশ করার পর এই প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেদের প্রবেশিকা পরীক্ষা আয়োজন করে থাকে। সেগুলি পাশ করলেই কোনও প্রার্থী ভর্তি হতে পারেন এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে।