প্রতীকী ছবি
এসবিআই ব্যাঙ্কে যে পদের চাকরিগুলি রয়েছে, তার মধ্যে সব থেকে বেশি চাহিদা থাকে পিও (প্রবেশনারি অফিসার) পদের চাকরির জন্য। এই প্রতিবেদনে এসবিআই ব্যাঙ্কের পিও পদে চাকরি পাওয়ার জন্য এক জন প্রার্থীকে মূলত কী কী বিষয়ের উপর নজর রাখতে হবে তার বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
কী কী বিষয়ের উপর নজর রাখতে হবে
যোগ্যতা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে যে কোনও বিষয়ে স্নাতক পাশ হতে হবে প্রার্থীকে। যে সকল প্রার্থী স্নাতক স্তরের অন্তিম বর্ষে পড়ছেন তাঁরাও শর্তসাপেক্ষে অস্থায়ী ভাবে আবেদন করতে পারেন এই পদের জন্য। তবে, সাক্ষাৎকার পর্বে যখন প্রার্থীকে ডাকা হবে, তাঁকে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার প্রমাণ দিতে হবে। যে সকল প্রার্থীর ইন্টিগ্রেটেড ডুয়েলডিগ্রি (আইডিডি) শংসাপত্র রয়েছে, তাঁদের নিশ্চিত করতে হবে যে আইডিডি পাস করার তারিখটি সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞাপনে দেওয়া যোগ্যতার তারিখে বা তার আগে রয়েছে।
বয়ঃসীমা: আবেদনকারী প্রার্থীদের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে থাকতে হবে। এসসি,এসটির ক্ষেত্রে ৫ বছরের ছাড় থাকে এবং ওবিসির ক্ষেত্রে ৩ বছরের ছাড় থাকে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সাধারণ বিভাগের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১০ বছর, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এসসি, এসটি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১৫ বছর, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ওবিসি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১৩ বছর ছাড় থাকে। এবং যে সকল প্রার্থী ১ জানুয়ারি ১৯৯০ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ১৯৮৯ সময়কালে জম্মুও কাশ্মীরের আবাসিক, তাঁদের ক্ষেত্রে বয়সের ছাড় ৫ বছর পর্যন্ত থাকে। প্রার্থীর কাছে ভারতের নাগরিকত্বের পরিচয়পত্র থাকতে হবে।
পরীক্ষার পদ্ধতি: মূলত চারটি ধাপে হয়ে থাকে পিও পদের পরীক্ষা।
প্রিমিলিনারি পরীক্ষা: মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রশ্নপত্র তৈরি হয়। ইংরাজি ৩০ নম্বরের, কোয়ান্টিটিভ অ্যাপ্টিটিউড ৩৫নম্বরের, রিজ়নিং এবিলিটি ৩৫ নম্বর করে ধার্য থাকে। পরীক্ষার সময়সীমা ১ঘণ্টা।
মূল পরীক্ষা: মূল পরীক্ষা দু’টি ভাগে হয়। ২০০ নম্বরের জন্য উদ্দেশ্যমূলক (অবজেক্টিভ) পরীক্ষা হয়, এবং ৫০ নম্বরের জন্য বর্ণনামূলক (ডেসক্রিপটিভ) পরীক্ষা হয়। উদ্দেশ্য এবং বর্ণনামূলক উভয় পরীক্ষাই অনলাইনের মাধ্যমে নেওয়া হয় থাকে। উদ্দেশ্যমূলক (অবজেক্টিভ) পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই বর্ণনামূলক পরীক্ষা নেওয়া হয় থাকে।
উদ্দেশ্যমূলক (অবজেক্টিভ) পরীক্ষা: মোট ২০০ নম্বরের চারটি বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রশ্ন পত্র তৈরি হয়ে থাকে। সময়সীমা ৩ ঘন্টার ধার্য করা থাকে। রিজ়নিং এবং কম্পিউটার অ্যাপ্টিটিউড— ৬০ নম্বরের ৪৫টি প্রশ্ন থাকে। ১ঘন্টা সময়সীমা নির্ধারিত। ডেটা অ্যানালাইসিস এবং ইন্টারপ্রিটেশন— ৬০ নম্বরের ৩৫টি প্রশ্ন থাকে। ৪৫ মিনিট সময়সীমা নির্ধারিত। অর্থনীতি ও ব্যাঙ্কিং সম্পর্কে সাধারণ সচেতনমূলক পরীক্ষা— ৪০ নম্বরের ৪০টি প্রশ্ন থাকে। ৩৫ মিনিট সময়সীমা নির্ধারিত। ইংরেজি— ৪০ নম্বরের ৩৫টি প্রশ্ন থাকে। ৪০ মিনিট সময়সীমা নির্ধারিত।
বর্ণনামূলক (ডেসক্রিপটিভ) পরীক্ষা: ৫০ নম্বরের এই পরীক্ষায় ৩০ মিনিট সময়সীমা নির্ধারিত। ইংরেজি ভাষার উপর এই পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে। ইংরেজিতে পত্রলিখন এবং প্রবন্ধ লিখতে হয় প্রার্থীদের। যে সকল প্রার্থী অবজেক্টিভ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন, তাঁরাই ডেসক্রিপটিভ পরীক্ষায় বসতে পারেন। প্রিমিলিনারি পরীক্ষা ও মূল পরীক্ষায়, প্রতি প্রশ্নের ভুল উত্তরে সংশ্লিষ্ট প্রাপ্ত নম্বরের এক চতুর্থাংশ নম্বর কেটে নেওয়া হয়।
গ্রুপ ডিসকাশন এবং সাক্ষাৎকার: ২০ নম্বরের গ্রুপ ডিসকাশন হয় এবং ৩০ নম্বর থাকে সাক্ষাৎকারে। মোট ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হয়ে থাকে এই ধাপে।
নিয়োগ প্রক্রিয়া: প্রাথমিক (প্রিমিলিনারি) পরীক্ষা, মূল পরীক্ষা, গ্রুপ ডিসকাশন এবং সাক্ষাৎকার। প্রতিটি পরীক্ষায় যে সকল প্রার্থী উত্তীর্ণ হবেন, তাঁদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়। প্রার্থী চাকরি পেয়ে যাওয়ার পর ভারতের যে কোনও জায়গায় তাঁর পোস্টিং হতে পারে।
আবেদন পদ্ধতি: প্রার্থীকে www.statebankofindia.com, www.sbi.co.in, এই ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রথমে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। এর পর শুন্যপদের চাহিদা অনুয়ায়ী নির্দিষ্ট পদে আবেদন করতে পারবেন।
বেতন: এই পদে বার্ষিক বেতন ন্যূনতম ৭.৫৫ লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ১২.৯৩ লক্ষ টাকা ধার্য থাকে।
আবেদনের মূল্য: এই পদে আবেদন করতে সাধারণ বিভাগের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৬০০ টাকা (ইন্টিমেশন এবং ফর্মের মুল্য), অন্যান্য বিভাগের ক্ষেত্রে শুধু মাত্র ইন্টিমেশনের ১০০ টাকা ধার্য করা।