Joint Entrance Exam

জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ফিজিক্স নিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির পরামর্শ দিচ্ছেন শিক্ষক

পুরো সিলেবাসের উপরে স্পষ্ট সামগ্রিক ধারণা রাখা জরুরি। কিছু কিছু প্রশ্নের ক্ষেত্রে শর্টকাট টেকনিক প্রয়োগ করা যেতে পারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৩ ১৬:৫১
Share:

জয়েন্ট পরীক্ষার টিপস। প্রতীকী ছবি।

রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি চলছে। এই ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সতর্ক থাকা প্রয়োজন, যাতে কোনও ভাবেই ভুল উত্তর দিয়ে নেগেটিভ মার্কিং-এর কবলে পড়তে না হয়। ফিজিক্সের বেশির ভাগ প্রশ্নের উত্তর করার ক্ষেত্রে একাধিক অধ্যায়ের কনসেপ্ট সঠিক ভাবে প্রয়োগ করতে হয়।

Advertisement

রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ফিজিক্সে প্রথম গ্রুপে তিরিশটি ১ নম্বরের এমসিকিউ থাকে। দ্বিতীয় গ্রুপে ৫টি ২ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। তৃতীয় গ্রুপে যে ৫টি প্রশ্ন আসবে, তাতে একাধিক সঠিক উত্তর থাকতে পারে।পুরো সিলেবাসের উপরে সামগ্রিক ধারণা পরিষ্কার রাখা জরুরি। কিছু কিছু প্রশ্নের ক্ষেত্রে শর্টকাট টেকনিক প্রয়োগ করা যেতে পারে।

পদ্ধতিগুলি এবং প্রশ্নের ধরনগুলি হল:

Advertisement

১) একটি স্ফেরোমিটারের ভার্নিয়ার ধ্রুবকের মান ৩০"। দেখা যায় যে মেইন স্কেলের ২৯ তম দাগ ভার্নিয়ার স্কেলের ৩০তম দাগের সঙ্গে মিশে যায়। স্ফেরোমিটারের ওপরে দাগ সংখ্যা নির্ণয় কর।

ক) ৩৬০ খ) ৭২০ গ) ১৪৪০ ঘ) ১৫৬০

২) কোনও বিন্দুতে ক্রিয়াশীল দুটি বলের লব্ধির মান ১০০ এন যা কোনও একটি বলের সঙ্গে লম্ব ভাবে ক্রিয়াশীল। অন্য বলটি লব্ধি বলের সঙ্গে ৩০° কোণে আনত। বল দু’টির মানের অনুপাত নির্ণয় কর।

শর্টকাট: যদি একটি বলের সঙ্গে লব্ধি বল লম্ব ভাবে ক্রিয়াশীল থাকে, সে ক্ষেত্রে দেখানো যায় যে বল দু’টির মানের আনুপাত বল দু’টির মধ্যবর্তী কোণের কস মানের সঙ্গে সমান হবে।

এ ক্ষেত্রে নিয়মানুযায়ী অঙ্কটি করতে হলে, ভেক্টর বিভাজনের এক্স উপাংশ নিতে হবে। যা প্রদর্শিত হয়েছে।

পরীক্ষা কেন্দ্রে লক্ষ থাকা উচিত কোনও জানা প্রশ্নের উত্তর যেন সময়াভাবে বা অসতর্কতার জন্যে ছেড়ে না আসা হয়। কয়েকটি বিষয় মনে রাখলে সুবিধে হতে পারে। যে সমস্ত চ্যাপ্টার এখনও করা হয়ে ওঠেনি সেই অংশের প্রশ্নের সঠিক উত্তর পরীক্ষার হলে হঠাৎ করে নির্বাচন করা বেশ কঠিন। তাই সেই প্রশ্নের জন্যে অযথা সময় নষ্ট না করাই ভাল। এখানে সময় যেহেতু বেশি সংখ্যক উত্তর দেবার ক্ষেত্রে একটা অন্যতম মাপকাঠি, তাই কতগুলো পরিকল্পনা আগে থেকে করে রাখা দরকার।

লিখেছেন রিজেন্ট এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সুদীপ চট্টোপাধ্যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement