Pharmacy course after 12th

ফার্মাসিস্ট হতে চান? উচ্চ মাধ্যমিকের পর কী ভাবে শুরু করবেন?

২৫ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস’। এই বিশেষ দিনটিতে এই পেশায় আসার বিষয়ে বিশদ জেনে নেওয়া যাক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৪
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

অসুস্থ রোগীদের ওষুধ খাওয়া সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। আর সেই ওষুধ কোন সময়ে কী ভাবে খেতে হবে, সেই তথ্য দিয়ে থাকেন ফার্মাসিস্টরা। এ ছাড়া তাঁদেরও রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষার মতোই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয়। তাই এই পেশায় কাজ করতে আগ্রহীদের ওষুধ এবং পথ্য সম্পর্কিত বিষয় তো বটেই, প্রযুক্তিগত দিক থেকেও জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।

Advertisement

কী ভাবে শুরু করবেন?

সাধারণত, বিজ্ঞান শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণরা এই পেশায় আসার সুযোগ পেয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বিষয় হিসেবে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান এবং গণিত থাকা প্রয়োজন। স্নাতক স্তরে ভর্তি হওয়ার জন্য ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নিট) কিংবা গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসি অ্যাপটিটিউড টেস্ট (জিপ্যাট) অথবা রাজ্য স্তরের প্রবেশিকায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তবেই স্নাতক স্তরে ব্যাচেলর অফ ফার্মাসি (বিফার্ম) কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। এ ছাড়াও ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশনে উত্তীর্ণ পড়ুয়ারাও সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন।

Advertisement

কোন কোন বিষয় নিয়ে স্নাতক স্তরে ভর্তি হওয়া সম্ভব?

ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি, ফার্মাসিউটিক্স, ফার্মাকোলজি, ফার্মাকোগনসি, ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যানালিসিস, ক্লিনিক্যাল ফার্মাসি, হসপিটাল ফার্মাসি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মাসি, হসপিটাল ফার্মাসি এবং ক্লিনিক্যাল ফার্মাসি— মূলত এই কয়েকটি বিষয় দেশের এবং রাজ্যের কিছু বাছাই করা প্রতিষ্ঠানে স্নাতক স্তরে পড়ানো হয়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি নিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি, পড়ুয়াদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য হাতেকলমে প্রশিক্ষণ এবং ইন্টার্নশিপেও অংশগ্রহণ করতে হয়।

এই বিষয়গুলি কোথায় পড়ানো হয়?

রাজ্যের বেশ কিছু সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেখানে এই বিষয়গুলি পড়ানো হয়ে থাকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ বিশ্ববিদ্যালয় (ম্যাকাউট), বেঙ্গল কলেজ অফ ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ, ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসি এই তালিকায় উল্লেখযোগ্য।

উচ্চশিক্ষার সুযোগ:

স্নাতক স্তরের পড়াশোনা সম্পূর্ণ হওয়ার পরে মাস্টার অফ ফার্মাসি (এমফার্ম) নিয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। স্নাতকোত্তর যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা এর পর ফার্মাসি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াতে নিজেদের নাম ফার্মাসিস্ট হিসাবে নথিভুক্ত করতে পারবেন। একই সঙ্গে কোনও স্পেশালাইজ়ড পেপার নিয়ে আরও পড়াশোনা এবং গবেষণার সুযোগ রয়েছে।

পেশা:

এই বিষয় নিয়ে গবেষণামূলক কাজের পাশাপাশি বেশ কিছু পদেও কাজের চাহিদা রয়েছে। ক্লিনিক্যাল ফার্মাসিস্ট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মাসিস্ট, কমিউনিটি ফার্মাসিস্ট— এর মধ্যে অন্যতম। তবে মার্কেটিং এবং রেগুলেটরি বিভাগেও ফার্মাসি শাখায় উচ্চশিক্ষিতদের কাজের সুযোগ রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে তাঁদের রেজিস্টার্ড ফার্মাসিস্ট, সার্টিফায়েড ক্লিনিক্যাল ফার্মাসিস্ট কিংবা সার্টিফায়েড ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনিশিয়ান— যে কোনও একটি শংসাপত্র থাকা আবশ্যক।

প্রসঙ্গত, দেশের পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক স্তরেও ফার্মাসিস্টদের কাজের চাহিদা ব্যাপক। তাই এমন পেশাদারদের নিয়ে তৈরি হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল ফেডারেশন, যাঁরা প্রতি বছর ২৫ সেপ্টেম্বর দিনটিকে ‘বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস’ হিসাবে উদযাপন করে থাকেন। উল্লিখিত সংস্থাটির ১০০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ২০০৯ থেকে প্রতি বছর বিশ্বের সমস্ত ফার্মাসিস্টদের সম্মান জানাতে এই দিনটি পালন করার রেওয়াজ রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement