প্রতীকী ছবি
ভাল লাগার বিষয়কেই পেশা করতে কে না চায়। ছোট থেকেই সাজ পোশাকের বিষয় নো কম্প্রোমাইজ়। বড় হয়ে সেই বিষয়কেই পেশা করতে চান অনেকেই। এই প্রতিবেদনে ফ্যাশন ডিজ়াইনার হওয়ার জন্য কী পড়তে হয়, যোগ্যতা কী প্রয়োজন, তার খুঁটিনাটি আলোচনা করা হল।
যোগ্যতা
ফ্যাশন ডিজ়াইনার হওয়ার জন্য ভাল সেলাই করতে জানতে হয়। খুব সূক্ষ্ম কাজের সেলাই-এর কাজ জানা শিক্ষার্থীদের ফ্যাশন ডিজ়াইনিং পেশায় অনেক সাহায্য করতে পারে।
ভাল আঁকা জানতে হয়। বিভিন্ন ধরনের নকশা তৈরি করা, সেগুলি আঁকা— এই দক্ষতা থাকা প্রয়োজন ফ্যাশন ডিজ়াইনারের।
বর্তমান সময়ের সঙ্গে চলে এমন কী ধরনের পোশাক ট্রেন্ডে রয়েছে, কী ধরনের পোশাকে নজরকাড়া লাগতে পারে, সেই সব বিষয়ের প্রতি ধারণা থাকতে হয়। একইসঙ্গে ট্রেন্ড তৈরি করার দক্ষতাও থাকতে হয়। অর্থাৎ কোন তারকা কী ধরনের পোশাক পরলে, সেই পোশাক ট্রেন্ড হবে, এই বিষয়গুলিও নির্ভর করে ফ্যাশন ডিজাইনারের উপর।
কোর্স
ফ্যাশন ডিজ়াইনিং-এর উপর বিভিন্ন ধরনের কোর্স হয়। দ্বাদশ শ্রেণি পাশের পর ফ্যাশন ডিজ়াইনিং নিয়ে ইউজি পড়তে পারেন শিক্ষার্থীরা। তবে, বিভিন্ন ধরনের ডিল্পোমা কোর্সও হয়। প্রতিটি কোর্সের সময়সীমা ভিন্ন হয়। এক, দুই বা তিনবছরের কোর্স হয়। ভারতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি (এনআইএফটি) প্রতিষ্ঠানে ফ্যাশন ডিজ়াইনিং-এর উপর ইউজি, পিজি ডিগ্রি কোর্স করানো হয়। এই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শাখা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যতেও রয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ফ্যাশন ডিজ়াইনিং নিয়ে পড়তে পারেন। ফ্যাশন ডিজ়াইনিং-এ ব্যাচেলর ডিগ্রি করার জন্য স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করতে হয়। ভর্তি হওয়ার সর্বোচ্চ বয়ঃসীমা ২৪ বছর। শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার জন্য ফর্ম ফিল আপ করার পর প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়। প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে শূন্যপদ এবং মেধা তালিকার ভিত্তিতে ভর্তি হওয়া যায় এবং এই বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য কোনও নির্দিষ্ট বয়ঃসীমা নেই। তবে, স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য এই বিষয়ে স্নাতক পাশ করতেই হয় শিক্ষার্থীদের।
কাজের সুযোগ
বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি করে, এমন বড় সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করতে পারেন।
নিজস্ব ব্যবসা শুরু করা যায় ফ্যাশন ডিজ়াইনিং কোর্স করার পর।
বহু তারকা এখন নিজস্ব ফ্যাশন ডিজ়াইনার রাখেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগকরেও কাজ শুরু করতে পারেন।