প্রতীকী চিত্র।
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক শুরু ৩ মার্চ। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। উচ্চ মাধ্যমিকের একেবারে শেষ দিন অর্থাৎ ১৮ই মার্চ ভূগোল পরীক্ষা। পরীক্ষায় ভাল নম্বর পেতে শেষ মুহূর্তে কী ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে, সেই নিয়েই রইল বিশেষ পরামর্শ।
প্রশ্নের ধরন: বিগত বছরগুলির মতো এ বছরেও পরীক্ষায় মোট নম্বর থাকবে ৭০। এর মধ্যে প্রশ্নপত্রের অর্ধেক অংশে থাকবে ছোট প্রশ্ন। সে জন্য কোনও অধ্যায়ই বাদ দেওয়া চলবে না। প্রশ্নপত্রে ২১টি এক নম্বরের প্রশ্ন থাকবে যেগুলি বহু বিকল্পভিত্তিক। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি প্রশ্ন আবশ্যিক। পাশাপাশি, ১৪টি এক নম্বরের সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন থাকবে। এর জন্য উত্তরপত্রে জায়গা নির্দিষ্ট করা থাকবে। প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে খুব নির্দিষ্ট ভাবে এবং সংক্ষেপে। এ ছাড়াও থাকবে সাত নম্বরের পাঁচটি বর্ণনামূলক প্রশ্ন। যার মধ্যে দু’টি প্রশ্ন প্রাকৃতিক ভূগোল এবং তিনটি প্রশ্ন অর্থনৈতিক ভূগোল থেকে দেওয়া হবে।
পরীক্ষাকেন্দ্রে সময় বিভাজন: প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে প্রথম ১০-১৫ মিনিট মন দিয়ে প্রশ্নপত্র পড়ে নিতে হবে। দেখে নিতে হবে, কোন কোন প্রশ্নের ক্ষেত্রে বিকল্প রয়েছে। পরীক্ষা শুরুর প্রথম ৪৫ মিনিট বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। পরবর্তী বর্ণনামূলক প্রশ্নের ক্ষেত্রে, প্রতিটি ৭ নম্বরের প্রশ্নের জন্য ১৭ থেকে ১৮ মিনিট করে সময় বেঁধে নিতে হবে। তাতে শেষে কিছুটা সময় হাতে থাকবে রিভিশন করার জন্য। প্রাকৃতিক ভূগোলের প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় যথাযথ পরিচ্ছন্ন ডায়াগ্রাম বা ছবি আঁকা বাঞ্ছনীয়।
প্রস্তুতি পর্ব: টেস্ট পেপার ও বিগত বছরগুলির প্রশ্ন মন দিয়ে সমাধান করা জরুরি। তবে তার সঙ্গে পাঠ্যবই খুঁটিয়ে পড়লে পরীক্ষায় ভাল নম্বর পাওয়া সম্ভব।
বিশেষ মনোযোগ:
১) আরোহণ-অবরোহণ
২) ভৌমজলের বিভিন্ন উৎস
৩) অ্যাকুইফার
৪) আর্টেজীয় কূপ
৫) অন্ধ উপত্যকা ও শুষ্ক উপত্যকা
৬) সমুদ্র তরঙ্গের কাজের ফলে গঠিত ভূমিরূপ
৭) ক্ষয়চক্রের বাধা
৮) নদীর পুনর্যৌবন লাভের ফলে গঠিত ভূমিরূপ
৯) জলনির্গম প্রণালী
১০) মাটির সৃষ্টির নিয়ন্ত্রক সমূহ
১১) নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের জীবন চক্র
১২) প্রতীপ ঘূর্ণবাত ও ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের পার্থক্য
১৩) জেট স্ট্রিম ও ভারতের জলবায়ুর উপর প্রভাব
১৪) ওজোন স্তরে ক্ষয় ও তার প্রভাব
১৫) মরু উদ্ভিদ, জলজ উদ্ভিদ ও লবণাম্বু উদ্ভিদের অভিযোজন ও শ্রেণিবিভাগ,
১৬) জীব বৈচিত্রের গুরুত্ব
১৭) হটস্পট, ইন সিটু এবং এক্স সিটু সংরক্ষণ
১৮) দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের পার্থক্য
১৯) বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা
২০) শস্য সমন্বয় ও শস্য প্রগাঢ়তা
২১) সবুজ বিপ্লব, শ্বেত বিপ্লব এবং নীল বিপ্লবের সুফল এবং কুফল
২২) দক্ষিণ ভারতে কফি চাষ, শ্রীলঙ্কায় নারকেল চাষ ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ফলের চাষ
২৩) আইসোডোপেন
২৪) ভারতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও রেডিমেড বস্ত্র শিল্প, কাগজ শিল্পের কাঁচামাল
২৫) ব্রাজিলের রাবার শিল্প গড়ে না ওঠার কারণ
২৬) মালয়েশিয়ার রাবার শিল্প
২৭) পর্যটন ও তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প
২৮) পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে অসম জনবন্টনের কারণ, জনঘনত্ব,মানুষ জমি অনুপাত, কাম্য জনসংখ্যা
২৯) পরিব্রাজন
৩০) বয়স ও লিঙ্গভিত্তিক পিরামিড
৩১) বিক্ষিপ্ত এবং গোষ্ঠীবদ্ধ জনবসতি গড়ে ওঠার কারণ
৩২) পৌরাণের সমস্যা
৩৩) উন্নয়ন
৩৪) হলদিয়া বন্দর গড়ে ওঠার কারণ
৩৫) বেঙ্গালুরুর ইলেকট্রনিক্স শিল্প
পরীক্ষা আসন্ন। তাই এখন জোরকদমে প্রস্তুতি নিতে হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে শান্ত হয়ে প্রতিটি প্রশ্নের যথাযথ উত্তর পরিচ্ছন্ন ভাবে লিখতে পারলে সহজেই ভাল নম্বর পাওয়া যাবে।
(লেখিকা যোধপুর পার্ক গার্লস হাই স্কুলের ভূগোলের শিক্ষিকা)