রাজ্যের জয়েন্ট পরীক্ষার জন্য কোন বিষয়ে কোন টপিক না পড়লেই নয়। প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের জয়েন্ট পরীক্ষার আর এক সপ্তাহও বাকি নেই। জোরকদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরন, প্রস্তুতির টিপস-সহ আরও নানা বিষয় ইতিমধ্যেই আলোচনা করা হয়েছে। তবে যে বিষয়গুলির উপর রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা বা ডাব্লিউবিজেইই নেওয়া হয়, তার মধ্যে কোন কোন অধ্যায় এ বারের পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সেই সম্পর্কে তাঁর জরুরি পরামর্শ দিয়েছেন শহরের এক নামী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যাপিকা তথা বিভাগীয় প্রধান।
আগামী ৩০ এপ্রিল রয়েছে রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা। পরীক্ষায় মোট নম্বর থাকবে ২০০। পরীক্ষা হবে গণিত, পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নের উপর। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নম্বর অর্থাৎ ১০০ নম্বর থাকবে অঙ্কে। তাই পরীক্ষার জন্য এই বিষয়ে জোর দেওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে যে অধ্যায় বা বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলি হল: ৩ডি জ্যামিতি, ভেক্টর অ্যালজেব্রা, লিমিটস অ্যান্ড কনটিনিউটি। একই সঙ্গে দেখতে হবে ডেরিভেবিলিটি। অ্যাপ্লিকেশন অব ডেরিভেটিভ বিষয়টি এই বছরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া, ক্রনিক সেকশন্স এবং ডিফারেন্ট টাইপ অফ ইন্টিগ্রাল থেকেও প্রশ্ন আসতে পারে। ডিফারেন্ট টাইপ অফ ইন্টিগ্রাল বিষয় থেকে এরিয়া বের করার প্রশ্ন আসে পরীক্ষায়। অ্যালজেব্রার মধ্যে ২টি জিনিস দেখতেই হবে। সেগুলি হল: কমপ্লেক্স নম্বর বা জটিল সংখ্যা এবং ম্যাট্রিক্স।
এর পর আসা যাক পদার্থবিদ্যা বিষয়ে। এ ক্ষেত্রে ভাল করে পড়তে হবে ইলেক্টোডায়নামিক্স। এই বিষয়টি কোনওভাবেই বাদ দেওয়া চলবে না। পাশাপাশি পড়তে হবে ইলেক্টোস্ট্যাটিক, ইলেক্টোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন এই বিষয়গুলিও ভীষণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ বছরের জন্য। এ ছাড়া, এসি কারেন্ট এবং ওয়েব অপ্টিক্সও পড়ে যেতে হবে। আগের বছর যখন সেমিকন্ডাক্টার ফিজিক্স থেকে কোনও প্রশ্ন আসেনি, তাই এ বছর বিষয়টি দেখে যেতে হবে। এই বিষয় থেকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে এরর অ্যানালিসিসের উপরেও অনেক অঙ্ক আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বার আলোচনা করা যাক রসায়ন নিয়ে। এ ক্ষেত্রে থার্মোডায়নামিক্স ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এ বছরের পরীক্ষার জন্য। তা ছাড়া, জেনারেল অর্গ্যানিক কেমিস্ট্রি বা জিওসি, কার্বোনিল কম্পাউন্ডস, আয়োনিক ইকিউইলিব্রিয়াম, কোঅরডিনেশন কম্পাউন্ডস-এর অধ্যায়গুলিও দেখে যেতে হবে। একই সঙ্গে পি ব্লক খুব গুরুত্বপূর্ণ। পি ব্লকের অধ্যায়টি খুঁটিয়ে পড়তে হবে কেননা এখান থেকেও অনেক প্রশ্ন আসে। এ ছাড়া, কেমিক্যাল বন্ডিং-এর উপর খুব জোর দেওয়া হয় পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায়। তা ছাড়া প্রশ্ন আসে নিউক্লিয়ার কেমিস্ট্রি থেকে মাঝে সাঝে প্রশ্ন আসে। প্রশ্ন আসতে পারে ট্রোইসয়মিট্রিন থেকে। এ বছরের জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কলিজেটিভ প্রপার্টিস অফ সলিউশন। এ ছাড়া প্রয়োজন প্র্যাক্টিক্যাল কেমিস্ট্রি সম্পর্কিত জ্ঞান কেননা এটি না জানলে অনেক প্রশ্নেরই উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে না।
পরীক্ষায় উত্তর ভুল হলে থাকবে নেগেটিভ মার্কিং। তাই প্রস্তুতি চলাকালীন পরীক্ষার্থীদের ঠিক করে নিতে হবে কোন বিভাগ থেকে কত বা কী ভাবে উত্তর করলে, উত্তর ভুল হলেও, বেশি নম্বর তোলা যাবে। এ ছাড়া, উত্তর যে হেতু ওএমআর শিটে দিতে হবে, তাই একটু দেখেশুনে উত্তর করতে হবে পরীক্ষার্থীদের।
(পরামর্শ দিয়েছেন হেরিটেজ ইন্সিটিউট অফ টেকনোলজির অ্যাপ্ল্যায়েড ইলেক্ট্রনিক্স এবং ইন্সট্রুমেন্টেসশন বিভাগের অধ্যাপিকা তথা বিভাগীয় প্রধান মধুরিমা চট্টোপাধ্যায়।)