WB School Teachers

স্কুলে পথকুকুরের উপদ্রব! পড়ুয়াদের সুরক্ষার দায়িত্ব শিক্ষকদের, সরকারি নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্ক

কোনও কুকুর অস্বাভাবিক আচরণ করছে কি না, বা স্কুলে কোনও কুকুর প্রবেশ করছে কি না, সেই বিষয়টিও সামলাতে হবে শিক্ষকদেরই।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৫ ১১:০৫
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

পথকুকুরদের নিয়ে সচেতন করতে বিশেষ উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশনের। এ ছাড়াও সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, কুকুরের কামড় থেকে স্কুলপড়ুয়াদের বাঁচাতে স্কুলশিক্ষকদেরই নজরদারি করতে হবে। এই নির্দেশিকাকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

Advertisement

কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশনকে এই সম্পর্কিত একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, মিড-ডে মিল রান্না করার জায়গায় পথকুকুরেরা যাতে ঘোরাফেরা না করে, সেই বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেবে স্কুল। পড়ুয়ারা যাতে পথকুকুরদের ঢিল ছুড়ে বা অন্য কোনও উপায়ে উত্ত্যক্ত না করে, সেই বিষয়ে সচেতন করবেন শিক্ষকেরা। এমনকি কোনও কুকুর অস্বাভাবিক আচরণ করছে কি না, বা স্কুলে কোনও কুকুর প্রবেশ করছে কি না, সেই বিষয়টিও সামলাতে হবে তাঁদেরকেই। ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস-এর সুপারিশে উল্লিখিত নির্দেশিকাগুলি পড়ুয়াদের সুরক্ষার জন্য জারি করা হয়েছে।

এই বিষয়ে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “কেন্দ্রের শিক্ষানীতি অনুযায়ী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শিক্ষা-বহির্ভূত কোনও কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এখন তো দেখছি শিক্ষা ছাড়া আর সব কিছুই করতে হচ্ছে।” পাল্টা সরকারকেই তাঁর প্রশ্ন আমাদের আর কী কী করতে হবে? কেন রাজ্য কেন্দ্রের এই নির্দেশ মানছে?

Advertisement

অভিযোগ, স্কুলের পরিকাঠামোর উন্নয়নের যথাযথ টাকা নেই। বেশির ভাগ জেলার স্কুলগুলিতে পাঁচিল নেই কিংবা যথাযথ অনুদান না থাকায় সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। বেশির ভাগ স্কুলের গেটে দারোয়ান মোতায়েন করা নেই। সে ক্ষেত্রে শিক্ষকদের কাঁধে এত দায়িত্বে কেন দেওয়া হচ্ছে, এবং এই ভাবে সমস্যা সমাধান সম্ভব কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষামহলের একাংশ।

মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদারের অভিযোগ, বেশির ভাগ স্কুলে বিশেষত, প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ক্লাস চলাকালীন কুকুর, গরু চরে বেড়াতে দেখা যায়। স্কুলের চারদিকে পাঁচিল থাকে না, আর তা থাকলেও সরকারি দারোয়ান বা কেয়ারটেকার নেই। স্থানীয়দের সহায়তায় কিছু স্কুলে এই ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও নিয়মমাফিক সব স্কুলের চার দিকে পাঁচিল থাকা প্রয়োজন। এই বিষয়ে সরকারি পদক্ষেপের দাবিও জানিয়েছে তিনি।

কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাসের মতে, স্কুলের শিক্ষকেরা সব রকম বিপদে পড়ুয়াদের সচেতন করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে পথকুকুরের উপদ্রব রুখতে হলে স্কুল প্রশাসন এবং সহকারী শিক্ষকদেরও সহযোগিতা করা উচিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement