প্রতীকী চিত্র।
জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুযায়ী, স্কুল থেকে পিএইচডি স্তরের পঠন-পাঠন এবং মূল্যায়ণ পদ্ধতিতে পরিবর্তন করা হয়েছে। এর একটি অংশ হিসাবে চালু করা হচ্ছে ন্যাশনাল ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক। এই ফ্রেমওয়ার্কটি সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)-এর তরফে সমস্ত স্কুলের ষষ্ঠ, নবম এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রাথমিক ভাবে চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এর জন্য বোর্ডের তরফে স্কুলের প্রধানশিক্ষক এবং প্রধানশিক্ষিকাদের একটি পাইলট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই কর্মসূচির মাধ্যমে ফ্রেমওয়ার্ক সম্পর্কিত অ্যাওয়ারনেস সেশন, মেন্টরশিপ প্রোগ্রামস আয়োজন করা হবে। স্কুলগুলিকে ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী পঠন-পাঠন এবং মূল্যায়নের পদ্ধতি সম্পর্কে শেখানো হবে। একই সঙ্গে এই ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়িত হলে কী কী বিষয়ে সমস্যা হতে পারে, বা কোন কোন পরিকাঠামোতে পরিবর্তন করার প্রয়োজন রয়েছে, সে বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখা হবে।
এই পাইলট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রতিটি স্কুলের প্রধানশিক্ষক কিংবা প্রধানশিক্ষিকাদের অনলাইনে একটি ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে। ওই ফর্মে তাঁরা কোন ক্লাসে এই ফ্রেমওয়ার্কের বাস্তবায়ন করতে চান, সেই তথ্য জমা দিতে হবে। তবে বোর্ডের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এই আবেদনের শেষ দিন সম্পর্কিত কোনও তথ্য পেশ করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, এই ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে স্কুল ও উচ্চশিক্ষার সঙ্গে বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও পরীক্ষামূলক শিক্ষার মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে নানা সুযোগ তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ ছাড়াও এর সাহায্যে শিক্ষাক্ষেত্র ও কর্মক্ষেত্রের মানুষদের প্রশিক্ষণ দিয়ে, দক্ষতার উন্নতি ঘটিয়ে, মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি প্রাপ্তির পথ সুগম করা হবে, এমনটাই বার্তা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে।